Advertisement
E-Paper

কোটি টাকার লটারি জয়, ফিরবেন না শ্রমিকের কাজে

এর আগে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে কর্মরত ছিলেন সুরজিৎ। বড়দিনের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। তিনি জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকালে মাকে নিয়ে তরণিপুর যান সুরজিৎ।

শনিবার সকালে তেহট্ট থানায় সুরজিৎ মণ্ডল। নদিয়ার তেহট্টে।

শনিবার সকালে তেহট্ট থানায় সুরজিৎ মণ্ডল। নদিয়ার তেহট্টে। ছবি: সাগর হালদার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৪৩
Share
Save

এক দিনেই আমূল বদলে গেল এক পরিযায়ী শ্রমিকের অর্থনৈতিক অবস্থা। ভাগ্য পরীক্ষা করতে ওই শ্রমিক লটারির টিকিট কেটেছিলেন। তা থেকে এক কোটি টাকা জিতে নিলেন সুরজিৎ মণ্ডল নামের ওই ব্যক্তি।

ওই পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি তেহট্ট থানার পুঁটিমারি দক্ষিণ পাড়ায়। টাকা জিতে আপাতত অন্য রাজ্যে আর কাজে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ওই টাকায় বাড়িতেই ব্যবসা করবেন বলে জানিয়েছেন। টাকা জিতে শনিবার সকালে তেহট্ট থানার দারস্থ হন তিনি। থানা থেকেই ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

এর আগে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে কর্মরত ছিলেন সুরজিৎ। বড়দিনের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। তিনি জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকালে মাকে নিয়ে তরণিপুর যান সুরজিৎ। সেখানে মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর ফাঁকে তরণিপুরের এক লটারি টিকিট বিক্রেতার কাছ থেকে টিকিট কেটেন। নিছক ভাগ্য পরীক্ষার কৌতূহল থেকেই ওই টিকিট কেটেছিলেন তিনি, জানাচ্ছেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। এর পরে বাড়ি ফিরে, মাঠে বিভিন্ন কাজ সারেন। দুপুরে সুরজিতের কাছে ফোন আসে ওইলটারি টিকিট বিক্রেতার। টিকিট নম্বর মিলিয়ে দেখতে বলা হয়। তিনি যে কোটিপতি হতে চলেছেন, তখনও ভাবতে পারেননি। এর পরেই টিকিটের নম্বর মিলিয়ে থমকে যান সুরজিৎ। দেখা যায়, ফোনে বলা লটারির টিকিট বিক্রেতার নম্বরের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে তাঁর টিকিটের নম্বর!

মুহূর্তে এলাকায় তাঁর কোটিপতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ততক্ষণে অবশ্য সন্ধ্যা নামছে। কোনও ব্যাঙ্ক খোলা থাকার কথা নয়। তাই গ্রামে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সোজা চলে যান কৃষ্ণনগরে।শনিবার সকালে গাড়ি করে কয়েক জন আত্মীয়কে নিয়ে সরাসরি চলে আসেন তেহট্ট থানায়। এর পরে থানার সহায়তায় তেহট্টের একটি ব্যাঙ্কে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।

সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, “কোটি টাকা জিতেছি, আনন্দ তো হবেই। এখন আর অন্য রাজ্যে যাব না। এখানে থেকেই ব্যবসা করব। বাড়ির লোকেও বিশ্বাস করতে পারছে না। ওরাও খুব খুশি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tehatta migrant labour

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}