Advertisement
E-Paper

ডোবায় বাঁশের টুকরো ভাসতে দেখেই আঁতকে ওঠেন মা! ডোমকলে জলে ডুবে মৃত্যু দেড় বছরের শিশুর

বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মোক্তারপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত শিশুর নাম আলিফ মণ্ডল।

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ২০:৪৪
Share
Save

হাতে বাঁশের টুকরো নিয়ে খেলতে খেলতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বছর দেড়েকের শিশু। মা খেয়াল করেননি। ঘরে দেখতে না পেয়ে ভেবেছিলেন, আশপাশেই হয়তো রয়েছে ছেলে। কিন্তু খোঁজ করতে গিয়েই দেখেন, ছেলে ঘরের কোথাও নেই। পাড়া-প্রতিবেশীকে ডাকাডাকি করে বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজিও করেও শিশুর হদিস মেলেনি। ভাল করে লক্ষ করতেই ছেলের হাতে থাকা বাঁশের টুকরোটি রাস্তার পাশের একটি ডোবাতে ভাসতে দেখে চোখ আটকে যায় মায়ের। তৎক্ষণাৎ ডোবায় নেমে জল সরাতে গিয়ে উঠে এল একরত্তির দেহ! বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মোক্তারপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত শিশুর নাম আলিফ মণ্ডল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রোজকার মতোই সকালে মাটির উনুনে ভাত বসিয়েছিলেন হাসিনা বিবি। তাঁর কাছেই খেলা করছিল সদ্য হাঁটতে শেখা আলিফ। উনুনের পাশ থেকে বাঁশের একটি টুকরো নিয়ে খেলতে খেলতে সে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যায়। মিনিট পনেরো পরে রান্না সেরে উঠতেই হাসিনার খেয়াল হয়, ছেলে নেই! এ দিক-ও দিক খোঁজাখুঁজি করেও হদিস মেলেনি ছেলের। হাসিনার চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন পড়শিরাও। সকলে মিলে পাড়ায় খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার হয় আলিফের দেহ। পড়শিরা জানান, বাড়ির পাশের ডোবায় আলিফের হাতে থাকা বাঁশের টুকরো ভাসতে দেখে আঁতকে উঠেছিলেন মা হাসিনা। তিনিই ডোবায় নেমে ছেলের দেহ উদ্ধার করেন।

বাড়ির দাওয়ায় বসে কাঁদতে কাঁদতে হাসিনা বলেন, ‘‘আমার কোলে থাকলে ছেলেকে হারাতে হত না। কেন যে কোল থেকে নামালাম!’’ বলতে থাকেন, ‘‘আমি রান্না করছিলাম। বারবার বাঁশের টুকরো উনুনে ফেলতে যাচ্ছিল ও। আমি সরিয়ে দিচ্ছিলাম। কিছু ক্ষণ পরে দেখি ছেলে ঘরে নেই। খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে ডোবা থেকে ছেলেকে পাই।’’ আলিফকে উদ্ধারের পর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

Drowned child

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}