—প্রতীকী চিত্র।
বিয়েবাড়িতে খাবার খাওয়া নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। খাবারের টেবিলে চেয়ার দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হলেন অন্তত পাঁচ জন। আহতদের নিয়ে যেতে হল হাসপাতালে। পরিস্থিতি এমন হল যে বিয়েবাড়িতে এল পুলিশ। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, আহতদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার অন্তর্গত খোরজুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিমাটি গ্রামে দুপুরে একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান ছিল। কনেপক্ষের আমন্ত্রণে হাজির ছিলেন একশোর বেশি মানুষ। খাবার খাওয়ার সময় চেয়ারের ‘দখল’ নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। প্রথমে কথা কাটাকাটি, তার পর চড়-থাপ্পড়। তার পর একেবারে মারামারি শুরু হয় প্রীতিভোজের আসরে। পরিস্থিতি এমনই হয় যে প্যান্ডেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অব্যবহৃত বাঁশ নিয়ে একে অন্যের উপর চড়াও হন। বিয়েবাড়িতে খেতে এসে বাঁশের আঘাতে মাথা ফাটে পাঁচ জনের। রক্তাক্ত পরিস্থিতি দেখে অনুষ্ঠানবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান আতঙ্কিত বেশ কয়েক জন অতিথি। ঘটনার খবর পৌঁছয় কান্দি থানার পুলিশ। তার পর রক্তাক্ত অবস্থায় পাঁচ জনকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তারা সকলেই কনেপক্ষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের (উত্তর) সভাপতি গোলাম মোর্শেদের (জর্জ) পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী একটি পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিবাদ। সেই বিবাদের জেরেই বিয়ে বাড়িতে এই সংঘর্ষের ঘটনা। আহতেরা নাকি তৃণমূল নেতার পরিবারেরই সদস্য। কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রামেজ শেখ বলেন, ‘‘পুরনো বিবাদের জেরে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। তবে এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy