—প্রতীকী চিত্র।
ভিড়ে ঠাসা বাস। পরবর্তী স্টপেজ আসতে না আসতেই ব্রেক কষলেন চালক। হুড়মুড়িয়ে বাসে উঠে পড়লেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। তত ক্ষণে বাসের চালকের আসনের দখল নিয়েছেন পুলিশ-চালক। বাসের ভিতর শুরু হয় তল্লাশি। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। কিন্তু খবর তো পাকা! তাই তল্লাশি চলতেই থাকে। শেষমেশ বাসের বাঙ্কে থাকা বাদামের বস্তা থেকে উদ্ধার করা হল ১৪০ কেজি গাঁজা। নিষিদ্ধ মাদক পাচারের অভিযোগে ওই বাস থেকেই গ্রেফতার করা হল চার জনকে। বুধবার নদিয়ার চাপড়ার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চাপড়ার অভিযান চালিয়েছিল তাদের একটি দল। খবর ছিল, কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক ধরে একটি যাত্রিবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছে। গোপন সূত্রে পাওয়া ওই তথ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট নম্বরপ্লেটের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে পুলিশ।
অবশেষে দেখা মেলে বাসটির। চাপড়া থেকে খানিকটা দূরে এলেমনগর এলাকায় বাসটিকে দাঁড় করায় পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। গাড়ির ভিতর থেকে প্রথমে সন্দেহজনক একটি ব্যাগ এবং প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার হয়। কিন্তু বস্তা খুলে শুধুই বাদাম দেখে প্রথমে নিরাশই হন পুলিশকর্মীরা। তবুও হাল ছাড়েননি তাঁরা। ওই বস্তার তলার দিক থেকে মেলে লক্ষ লক্ষ টাকার গাঁজা। যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা সাধারণ যাত্রী সেজে বাসে বসেছিলেন। ধৃতদের নাম সাধু মণ্ডল, ইয়াসিন মণ্ডল, অভিজিৎ বিশ্বাস এবং রথীন কুন্ডু। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবারই আদালতে হাজির করা হয়।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলা থেকে ‘উন্নত মানের গাঁজা’ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সে সম্পর্কে তথ্য জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy