নিখোঁজ থাকার পাঁচ দিনের মাথায় দুই যুবকের দেহ মিলল চাপড়ার শুকনার বিল থেকে। নিহত আব্দুল হাকিম মণ্ডল ওরফে ঝড়ু শেখ (৪৭)-এর বাড়ি ধুবুলিয়ার সোনাতলায়। অপরজন, মোজাম শেখ (৩২)-এর বাড়ি ওই থানা এলাকারই পাত্রদহ গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুল হাকিমের থানার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। দিন সাতেক আগে থানায় বছর দশেকের একটি শিশু ধুবুলিয়ায় আসে। পুলিশ জানতে পারে তার বাড়ি চাপড়ার ডোমপুকুর এলাকায়। ঝড়ু ও মোজাম শেখ রবিবার শিশুটিকে তার বাড়িতে রাখতে যান। তারপর তাঁরা স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে চাপড়ার মুরগিহাটায় একটি মদের ঠেকে বসেন। ওই দিন রাত থেকেই দু’জনের কোন খোঁজ মিলছিল না। সোমবার রাতে ঝড়ু শেখের ছেলে বিপ্লব শেখ নির্দিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাপড়া থানায় অপহরণের অভিযোগ আনেন। তারপর দু’জনের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ মইদুল শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। তাকে দীর্ঘ জেরার পর পুলিশ কিছু সূত্র পায়। সেই মত ওই দিন রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী শুকনা বিল চত্বরে তল্লাশি শুরু করে। রাতেই মাটিতে পোঁতা অবস্থায় একজনের পা দেখতে পুলিশ। শুক্রবার সকালে সেখানে মাটি খুড়ে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। তাদের হাত-পা বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার পরদিনই সিপিএম (এমএল) দাবি করেছিল, ঝড়ু ও মোজাম তাদের সমর্থক। ঝড়ু শেখের শ্যালক হিল্লাল শেখ বলেন, “আমরা চাই পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করুক।” পুলিশের ডিএসপি (সদর) অভিষেক মজুমদার বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে চরের জমি নিয়ে চরমহৎপুরে দীর্ঘদিনের গণ্ডগোলের সঙ্গে এই জোড়া খুনের সম্পর্ক রয়েছে। তবে মূল অভিযুক্তরা ধরা পড়লে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy