শুরুর আগেই শুরু চাইছে রাজ্য।
এপ্রিলে নতুন অর্থবর্ষ শুরু। ওই বছরের জন্য সব দফতরকে এখন থেকেই পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ এগিয়ে রাখার নির্দেশ দিল নবান্ন।
বৃহস্পতিবার অর্থসচিবের জারি করা ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, বাজেট বরাদ্দের ৫০% অর্থ খরচ হয় অর্থবর্ষের শেষ তিন মাস, জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে। অথচ প্রতিটি দফতরকে ১ এপ্রিল বাজেট বরাদ্দের ৩৩% এবং ১ সেপ্টেম্বর ৭৫% অর্থ মঞ্জুর করে দেওয়া হয়। এক অর্থকর্তা জানান, এর ফলে তাড়াহুড়োয় কাজ ভাল হয় না। নানা ধরনের অভিযোগ ওঠে। তাই আগের ব্যবস্থা যে আর চলতে দেওয়া হবে না, অর্থসচিবের নির্দেশে সেটাই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে আমলামহল।
রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহলের অভিজ্ঞতা হল, দফতরগুলো আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাস (এপ্রিল থেকে জুন) পরিকল্পনা তৈরি, বিভিন্ন প্রকল্প চিহ্নিত করে তার সবিস্তার রিপোর্ট তৈরি করা, প্রশাসনের অনুমোদন নেওয়া এবং দরপত্র চূড়ান্ত করার কাজে ব্যয় করে। এই পর্ব যখন শেষ হয়, তত দিনে বর্ষার মরসুম শুরু হয়ে যায়। ফলে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর হয়ে যায়। প্রকৃত খরচও শুরু হয় সেই সময় থেকে। যদিও দফতরগুলির হাতে খরচ করার মতো টাকা পড়ে থাকে অনেক আগে থেকেই।
নবান্নের কোনও কোনও কর্তা মনে করেন, কাজ শুরুর আসল সময়টা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরও নয়। কারণ, ওটা মূলত পুজোর মরসুম। ডিসেম্বরের শেষের দিকে শুরু হয় বড়দিনের উৎসব। তাই মাঠে-ময়দানে দফতরগুলি টানা কাজ শুরু হয় জানুয়ারি থেকে। সেই কারণে খরচের অর্ধেকও ব্যয় হয় সেই সময়ে।
নির্দেশিকায় অর্থ দফতর বলেছে, অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে দফতরগুলি যে-কাজ করে, সেগুলো মার্চের মধ্যে শেষ করা ফেলা হোক। দফতরের এক কর্তা জানান, বিধানসভায় বাজেট-প্রস্তাব পেশ হয় মার্চের আগে। তা থেকে দফতরগুলো পরের বছরের বাজেট সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যায়। তাই অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) যদি পরের বছরের জন্য প্রস্তুতির কাজ সেরে ফেলা যায়, তা হলে বাজেট-প্রস্তাব গৃহীত হলে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই নতুন কাজের বরাত দিয়ে দিতে পারে দফতরগুলি।
এতে কী সুবিধা হবে?
অর্থ দফতরের বক্তব্য, সব কাজের প্রস্তুতি সেরে রাখতে পারলে ১ এপ্রিল নতুন অর্থবর্ষ শুরু হলেই এক সপ্তাহের মধ্যে কাজের বরাত দিয়ে দেওয়া যায়। তারাও সেই সময় থেকে অর্থ মঞ্জুর করতে শুরু করে। কাজও শুরু করা যায় বছরের গোড়া থেকে।
তবে নবান্নের একটি মহলের বক্তব্য, বেশির ভাগ দফতর এ বছরের কাজই এখনও শেষ করে উঠতে পারেনি। তাই সেই সব দফতরের পক্ষে নতুন নির্দেশিকা কতটা মানা সম্ভব, তা বলা কঠিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy