—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবারও রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচির সপ্তম দফা। চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। পুরনো সব সরকারি প্রকল্প ছাড়াও চারটি নতুন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে দুয়ারে সরকার শিবির থেকে। এ বারে নতুন চারটি প্রকল্পকে যোগ করা হয়েছে এই কর্মসূচিতে।
এই দফার শিবিরটিকে দু’টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব চলবে ১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর। এই পর্বে সমস্ত প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্ব চলবে ১৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর। এই পর্বে পরিষেবা প্রদানের শিবিরের আয়োজন করা হবে। নাগরিক সুবিধার্থে স্থায়ী এবং ভ্রাম্যমাণ দু’ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় এক লক্ষ শিবিরে আবেদনপত্র গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই শিবিরগুলির মধ্যে ৩৬ শতাংশ ভ্রাম্যমাণ এবং বাকি ৬৪ শতাংশ প্রচলিত শিবির। এ ছাড়াও পরিষেবা প্রদানের কাজ সফল ভাবে করার জন্য রাজ্যস্তরীয় সম্পাদনকারী দল তৈরি করা হয়েছে। গ্রাহকেরা http://ds.wb.gov.in এই ওয়েবসাইটে নিকটবর্তী শিবিরের খোঁজ পাবেন। ব্লক, জেলা এবং রাজ্য স্তরে কন্ট্রোলরুম তৈরি করা হয়েছে। শিবির তদারকির জন্য জেলা এবং মহকুমা স্তরে ৪১ জন আমলাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। উপযুক্ত আবেদনকারীদের সকল পরিষেবা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এর মধ্যেই প্রদান করা হবে। যে সকল আবেদনপত্রের অনুমোদন করা হবে না তার কারণও বলে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। সেগুলি হল— ১৮০০-৩৪৫-০১১৭/০৩৩-২২ ১৪০১৫২।
২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট চার লক্ষ ৬৬ হাজার ২৮৪টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এই সব শিবিরে প্রায় ১০ কোটি রাজ্যবাসী উপকৃত হয়েছেন। সাত কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। ষষ্ঠ দফার শিবির আয়োজিত হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে গত এপ্রিল মাসে। প্রতি বারের মতো এ বারও খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, কৃষকবন্ধু, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ছাড়াও আরও নানা প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন উপভোক্তারা। যে চারটি নতুন প্রকল্প যোগ করা হয়েছে সেগুলি হল— বার্ধক্য ভাতা (সমাজ কল্যাণ ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ), পরিযায়ী শ্রমিকের নথিভুক্তিকরণ (শ্রম বিভাগ), উদ্যম পোর্টালে নথিভুক্তিকরণ (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ও বস্ত্র বিভাগ), হস্তশিল্পী এবং তাঁতশিল্পীদের তালিকাভুক্তকরণ (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ও বস্ত্র বিভাগ)।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাছ থেকে সেরার শিরোপা আদায় করে নিয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। ২০২২ সালের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ পুরস্কারের ‘পাবলিক প্ল্যাটফর্ম’ বিভাগে প্ল্যাটিনাম পুরস্কার পেয়েছে এই কর্মসূচি। দেশের ৮০০টি প্রকল্পের মধ্যে সেরা প্রকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়েছে এটি। গত জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এ ছাড়াও নানা পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy