গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ঘটনার পরে দেড় দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু ব্যান্ডেলের তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম খুনে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডের পরে শনিবার রাতেই বদলি করা হয় চুঁচুড়া থানার আইসি নিরুপম ঘোষ এবং ব্যান্ডেল ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপশ্রী সেনগুপ্তকে। পুলিশি তদন্তে ভরসা নেই জানিয়ে নিহতের স্ত্রী, ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রিতু সিংহ সিআইডি তদন্তের দাবি তুলেছেন। বিজু পাসোয়ান, অর্জুন সিংহ ওরফে লাড্ডু এবং সঞ্জয় মিশ্র নামে এলাকার তিন যুবকের বিরুদ্ধে রিতু ব্যান্ডেল জিআরপি থানায় স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তেরা বিজেপি কর্মী বলে রিতুর দাবি।
নেতা খুনের প্রতিবাদে রবিবার চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় ২৪ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তার জেরে এ দিন ব্যান্ডেল, চুঁচুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। কয়েকটি বাজারে আনাজের কিছু দোকান খোলা থাকলেও মানুষের ভোগান্তি কমেনি। অটো-বাস চলেনি। বিধায়কের এই কর্মসূচিতে ক্ষুব্ধ দলেরই একাংশ। কারণ, তৃণমূল বন্ধের রাজনীতি সমর্থন করে না। ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের দাবি, ‘‘চুঁচুড়ায় বন্ধ ডাকার বিষয়টিকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছি। কারণ, কোনও একটি ঘটনায় দল হঠাৎ করে তার ঘোষিত নীতি থেকে সরে আসতে পারে না। এই বন্ধ ডাকার প্রশ্নে দলের অনুমতি আছে বলেও আমাদের জানা নেই।’’
বিধায়ক অসিতবাবুর দাবি, ‘‘দলের কর্মী-সমর্থকদের আবেগের কথা ভেবে বন্ধ ডাকা ছাড়া উপায় ছিল না। না হলে বড় কিছু ঘটে যেতে পারত। চুঁচুড়া এলাকার মানুষও বিজেপি-র এই খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে।’’
শনিবার সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন দিলীপ। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন নিহতের পরিবার এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। একই সঙ্গে তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছিলেন। বিধায়ক অসিতবাবুর অভিযোগ ছিল, আগেও একাধিক বার দুষ্কৃতীরা দিলীপকে মারার চেষ্টা করছিল। জানানো হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আইসি এবং ব্যান্ডেল ফাঁড়ির ইনচার্জকে বদলির পিছনে বিধায়কের অঙ্গুলিহেলন রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। বিধায়ক অসিতবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ ঠিক কাজ করছে না বলে শনিবারেই মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মেসেজ’ করেছিলাম। আশা করছি, এ বার পুলিশ ঠিকঠাক কাজ করবে।’’ চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এটা রুটিন বদলি।’’
রবিবার সকালে ব্যান্ডেলের নেতাজি পার্কে নিহত নেতার বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন। বিজেপির দাবি, খুনের পিছনে রয়েছে তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy