সব্যসাচী দত্তের বাড়ির সামনে মুকুল রায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন বিধাননগর পুরসভার দলীয় কাউন্সিলরেরা। কী ভাবে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে, তার কৌশল ঠিক করতে তৃণমূলের মেয়র এবং বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে ‘পরামর্শ’ দিতে গেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়! বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার দু’দলের দুই নেতাই বলেছেন, তাঁরা কৌশল ঠিক করতে বসেছিলেন। তৃণমূলের মেয়রের বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই অনাস্থা সামলাতে বিজেপি নেতা কৌশল ঠিক করতে যাচ্ছেন, এমন ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক শিবিরের মত।
বিধাননগরের এক ক্লাবে রবিবার রাতে এক প্রস্ত আলোচনায় বসেছিলেন মুকুল ও সব্যসাচী। তার পরে এ দিন সকালে সব্যসাচীর বাড়ি গিয়ে প্রায় আধঘণ্টা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন মুকুল। জল্পনা শুরু হয়, বিধাননগর পুরসভায় ১৮ জুলাই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আগেই কি তা হলে মেয়রের বিজেপিতে যাওয়ার রাস্তা পাকা হচ্ছে? পরে মুকুলবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। বিধাননগর পুরসভায় সব্যসাচীর বিরুদ্ধে যে অনাস্থার নোটিস জারি হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলতেই এসেছিলাম। স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা হল।’’ আর সব্যসাচীবাবুর বক্তব্য, ‘‘দাদা হিসেবে মুকুলদা পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই। অনাস্থার যে নোটিস আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেটা উনি দেখেছেন। আইনের বিষয়টা উনি ভাল বোঝেন।’’ মেয়রের আরও দাবি, কেবল মুকুলবাবু নন, অন্য দলের বিধায়কেরাও তাঁকে একাধিক বার ফোন করেছেন। পরামর্শ দিয়েছেন।
কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তৃণমূলের সব্যসাচীকে বিজেপির নেতা পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘নৈতিক’ ভাবে কি এমন করা যায়? মুকুলবাবুর মতে, ‘‘সব্যসাচীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক। সে জায়গা থেকেই ওর কাছে এসেছিলাম। এর মধ্যে তৃণমূল-বিজেপির কোনও ব্যাপারই নেই। আমার উপরে ওর ভরসা আছে, তাই দেখা করতে চেয়েছিল। আমি নিশ্চিত, সব্যসাচী না চাইলে তৃণমূল থেকে ওকে কেউ বার করতে পারবেন না!’’
তৃণমূল নেতা তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ‘‘মুকুলবাবু বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়েছেন! এক সময়ে তিনি কংগ্রেস-তৃণমূল করেছেন। এখন গাঁধীকে যারা হত্যা করেছে, তাদের পাশে বসতে হচ্ছে! তাই পুরনো লোকেদের কাছে পেতে চাইছেন।’’ আর সব্যসাচী প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘উনি যে ধরনের মন্তব্য করছেন, তা একেবারেই অনভিপ্রেত। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সব নজরে রাখছি। উনি যেন মনে রাখেন, তৃণমূলের টিকিটে জিতেই মেয়র ও বিধায়ক হয়েছেন। দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy