তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে ডাক নাও পেতে পারেন মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হবে ওই নির্বাচন। দলের সমস্ত সাংসদ ও বিধায়কদের ফোন করে ডাকার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনে কেবলমাত্র তৃণমূলের প্রতীকে জেতা জনপ্রতিনিধিদেরই ডাকা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে তৃণমূলের এ বারের সাংগঠনিক নির্বাচনে ডাক পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই মুকুল রায়ের। তৃণমূল সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
২০২১ সালের ১১ জুন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল। তবে তৃণমূলে যোগ দিলেও মুকুল কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি-র টিকিটে জেতা বিধায়ক। কিন্তু জয়ের কিছু দিনের মধ্যেই তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। শুধু মুকুল নয়, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকেও ওই নির্বাচনে ডাকা হবে না বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর।
তবে মুকুল-সহ এই বিধায়কদের না ডাকার আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি-র দলছুট বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁদের পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন। মুকুলের বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১১টি শুনানি হয়েছে স্পিকারের কাছে। কিন্তু বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। যদিও মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়টি ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। দেশের শীর্ষ আদালত আগামী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। আগামী ২৮ জানুয়ারি, শুক্রবার মুকুল-সহ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া আরও চার জনের বিধায়কপদ খারিজের আবেদনের শুনানি রয়েছে স্পিকারের কাছে। তাই সাংগঠনিক নির্বাচনে ওই পাঁচজনকে ডেকে নতুন করে বিড়ম্বনা তৈরি করতে চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘কে সাংগঠনিক নির্বাচনে অংশ নেবেন, আর কে নেবেন না, তা ঠিক করবে দল। তাই ২ তারিখ পর্যন্ত সকলের অপেক্ষা করা উচিত।’’
একটা সময় ছিল যখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সাংগঠনিক নির্বাচন নিজের হাতেই পরিচালনা করতেন মুকুল। ২০১২ সালের সাংগঠনিক নির্বাচনেও তিনিই ছিলেন রিটার্নিং অফিসার। সেটাই ছিল শেষ বার। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পর তৃণমূলের অন্দরমহলে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে বদল ঘটতে শুরু করে। দল থেকে বিছিন্ন হতে শুরু করেন মুকুল। ২০১৫ সালে তাঁর জায়গায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মুকুলকে দলের সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হলেও ২০১৭ সালের সাংগঠনিক নির্বাচনেও রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন সুব্রত।
মাঝে সাড়ে তিন বছর বিজেপি-তে কাটিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের পর ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে মুকুলের। এ বার নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তা ছাড়া সম্প্রতি মুকুল সংবাদমাধ্যমে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা অনুমোদন করেনি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে সবদিক বিবেচনা করেই মুকুলকে সাংগঠনিক নির্বাচন থেকে দুরে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy