ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে রাজ্য। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা-আতঙ্ক সঙ্গে নিয়েই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রাজ্য। বাড়ছে সরকারি বাসের সংখ্যাও। এ বার অটো-ট্যাক্সিতেও আগের মতো যাত্রী নেওয়া যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে মানতে হবে স্বাস্থ্য বিধি। ট্যাক্সি-অটো সংগঠনগুলির দাবি, চার জন করে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে মোটর ভেহিকলস অফিস থেকে। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে পরিবহণ দফতর থেকে।
গত কয়েক দিন দু’জন করে যাত্রী নিচ্ছিল অটো-ট্যাক্সি। ফলে আগামী কাল, বুধবার থেকে কিছুটা হলেও যাত্রীদের দুর্ভোগ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জলপথে পরিবহণও শুরু হয়েছে কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলির মধ্যে। যাত্রীর সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। এর মধ্যে সরকারি বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এখনই জেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় ধীরে ধীরে বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে ৮ জুনের মধ্যে ১২০০ করা হবে। ইতিমধ্যে কলকাতায় ৬০ শতাংশ বাস নেমে গিয়েছে।”
কিন্তু, বাস-মিনিবাস পথে না নামায় মানুষে দুর্ভোগে পড়েছেন, তা এ দিনও বোঝা গিয়েছে। বেহালা থেকে গড়িয়া, ডানলপ, গড়িয়াহাট— সর্বত্রই নাজেহাল হয়েছেন যাত্রীরা। দীর্ঘ ক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তা-ও গাড়ি পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতা নওয়াল কিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, “আমাদের যত আসন, তত যাত্রী নিতে বলা হয়েছে পরিবহণ দফতরের তরফে। আমার সুরক্ষা বিধি মেনেই চলব।”
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরও পড়ুন: অফিস আছে, বাস নেই, চরম ভোগান্তি-অনিশ্চয়তা রাস্তায় নামা মানুষের
আরও পড়ুন: অফিস আছে, বাস নেই, চরম ভোগান্তি-অনিশ্চয়তা রাস্তায় নামা মানুষের
দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে, মেট্রো-লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ার কারণে। লকডাউনের আগে পর্যন্ত মেট্রোয় ৬ থেকে ৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতেন প্রতি দিন। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার মধ্যে বাস-মিনিবাস বাস চলত প্রায় ৯ হাজারের আশপাশের কাছাকাছি। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ লক্ষ যাত্রী তাতে যাতায়াত করতেন বলে বেসরকরি পরিবহণ সংগঠনগুলি সূত্রে জানা যাচ্ছে। ‘আনলক-১’-এর শুরুর দিন থেকে কয়েকটি রুটে বেসরকারি বাস নামলেও, অধিকাংশই পথে নামেনি। ফলে পুরো চাপটাই এখন সরকারি বাসের উপর। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে প্রায় ৬০০ সরকারি বাস চলছে বিভিন্ন রুটে। সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ১২০০ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy