ফাইল চিত্র।
আগেই মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন। বুধবার নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর রাস্তায় হেঁটে এখনই নিজ নিজ পদ ছাড়তে নারাজ মেদিনীপুরের তিন জেলায় ছড়িয়ে থাকা ‘দাদার ঘনিষ্ঠদের’ একটা বড় অংশ। বরং অনেকেই তৃণমূলের সঙ্গে থাকার কথা বলছেন।
পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম— তিন জেলা জুড়েই ছড়িয়ে রয়েছেন শুভেন্দু-অনুগামী বলে পরিচিত কিছু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এঁদের কেউ বিধায়ক, কেউ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, কেউ পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধান। বুধবার শুভেন্দুর বিধায়ক পদে ইস্তফা চিঠির পরেও তিন জেলার এক জন বিধায়কও পদত্যাগ বা দলত্যাগের কথা বলেননি।
শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবেই রয়েছি। দলের কর্মসূচিও পালন করছি।’’ পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু শিবিরের লোক বলে পরিচিত জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডল, জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর আনন্দময় অধিকারীরাও বলছেন, ‘‘দল ছাড়ার কথা ভাবছি না।’’
আরও পড়ুন: দিদি-ফোনের পরেও সুনীলের বাড়িতে শুভেন্দুর সঙ্গে জিতেন্দ্রর বৈঠক
পূর্ব মেদিনীপুরে শুধু শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ যাঁদের বিরুদ্ধে তৃণমূল ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই কণিষ্ক পণ্ডা, ধীরেন্দ্রনাথ পাত্র, মেঘনাদ পালরাই এখন ‘দাদা’র পথের যাত্রী হওয়ার কথা বলছেন। নন্দীগ্রামের হরিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মেঘনাদ এ-ও বলেন, ‘‘তৃণমূলের উপপ্রধান পদ থেকেও ইস্তফা দেব।’’
ইস্তফার কথা বলছেন না পশ্চিম মেদিনীপুরের শুভেন্দু ঘনিষ্ঠেরাও। জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি শোনাচ্ছেন, ‘‘আমি দলবিরোধী কার্যকলাপ করিনি। আর আমি শুভেন্দুর অনুগামী নই, শুভেন্দুর শুভানুধ্যায়ী!’’ জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ তপন দত্ত বলেন, ‘‘ইস্তফার কথা আসছে কেন! বিরোধী দলনেতাই তো অধ্যক্ষ হন। পরবর্তী সময়ে আমি যদি অন্য কোনও দলে চলেও যাই, তা হলেও তো অধ্যক্ষ থাকতে পারি!’’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের আর এক কর্মাধ্যক্ষ বলেন, ‘‘আগে দল কী ব্যবস্থা নেয় দেখি। ইস্তফার কথা তার পর ভাবব।’’
আরও পড়ুন: স্পিকার ডাকলে আবার এসে তাঁর হাতেই ইস্তফা দিয়ে যাবেন ‘মুক্ত’ শুভেন্দু
আগামী শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভামঞ্চে শুভেন্দু থাকবেন কিনা, তা-ও অনুগামীরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না। তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নিশ্চিত শুভেন্দু বিজেপিতে গেলেও দলের বড় ক্ষতি হবে না। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কথায়, ‘‘দলের সকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন।’’ আর তৃণমূলের ‘জঙ্গলমহলের মুখ’ ছত্রধর মাহাতো বলেন, ‘‘শুভেন্দু দল ছাড়লেও জঙ্গলমহলে প্রভাব পড়বে না। বরং বদরক্ত ঝরে গেলেই ভাল।’’ তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মুও বলছেন, ‘‘জঙ্গলমহলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’
(তথ্য: আনন্দ মণ্ডল, কিংশুক গুপ্ত, বরুণ দে)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy