লক্ষ্মীর ভান্ডারে নতুন সংযোজন। ফাইল চিত্র।
আরও প্রায় ১০ লক্ষ মহিলা পাবেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা। এপ্রিল মাসের দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য জমা পড়েছে প্রায় ১১ লক্ষ ১৬ হাজার আবেদন। তার মধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ ৩৯ হাজার আবেদন অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আগামী বুধবার নবান্নে সব দফতরকে নিয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের নতুন এই তথ্য তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী নতুন উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর সূচনা করতে পারেন। এখন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের খরচের পরিমাণ প্রায় ১০৩০ কোটি টাকা। নতুন সাড়ে ১০ লক্ষ উপভোক্তা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় প্রতি মাসে এই খাতে খরচ বাড়বে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী মাস থেকে এই প্রকল্পের খরচের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা।
বর্তমানে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে অর্থ পান প্রায় ১ কোটি ৮৮ লক্ষ মহিলা। নতুন করে আরও ১০ লক্ষের বেশি মহিলা যুক্ত হওয়ায় সেই সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় এক লক্ষ ৯৮ হাজারে। ২০২১ সালে তৃতীয়বার নবান্ন দখলের পর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও নির্বাচনের আগে ইস্তাহারে তিনি এই প্রকল্প শুরুর কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। ওই বছর ২ মে আবার ক্ষমতায় ফেরেন মমতা। ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে জানিয়ে দেন এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের কথা। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি। বছরের বিভিন্ন সময় রাজ্যজুড়ে বসে দুয়ারে সরকার শিবির। সেই দুয়ারে সরকার শিবির থেকেই আবেদন করা যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল এ বছরের দুয়ারে সরকার শিবির। সেই শিবিরেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থ পেতে বিপুল পরিমাণে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল।
এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, “এই প্রকল্প খাতে বার্ষিক খরচ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।” গত এপ্রিল মাসেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন জানিয়ে দিয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা থাকলেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। তাই আবেদনকারী ১০ লক্ষ ৩৯ হাজার মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্কের তথ্য হাতে পাওয়ার পরই তাঁদের এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। যাঁদের আবেদনপত্রে এই বিষয়ে ত্রুটি ধরা পড়েছে তাঁদেরকেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy