কর্নাটকে এক চিকিৎসককে শনিবার ভোরে অপহরণ করা হয়েছিল, পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।
অপহরণের পর মুক্তিপণ চাওয়া, তা না-পেলে মেরে ফেলার হুমকির মতো ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু শনিবার কর্নাটকের চিকিৎসক সুনীলের অভিজ্ঞতা হার মানাবে সব কিছুকে। কারণ, তাঁকে অপহরণের পর বিনা মুক্তিপণেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। উল্টে দুষ্কৃতীরা তাঁর পকেটে গুঁজে দিয়েছেন ৩০০ টাকা।
কর্নাটকের বল্লারী জেলার একটি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত সুনীল। শনিবার ভোরে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বিপদে পড়েন তিনি। তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। ফোন করা হয় ওই চিকিৎসকের ভাইকে। মোট ছ’কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল তাঁদের কাছ থেকে। তার মধ্যে অর্ধেক নগদ টাকা এবং বাকি অর্ধেক টাকার সমপরিমাণ সোনা কিনে দিতে বলা হয়েছিল।
দুষ্কৃতীদের ফোন পেয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয় চিকিৎসকের পরিবার। পুলিশ সুনীলের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। জেলার যাবতীয় সীমান্ত আটকে দেওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয় সে দিন রাতে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৮টা নাগাদ অপহৃত চিকিৎসককে একটি নিরিবিলি এলাকায় ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বা তাঁর পরিবারের কাছ থেকে কোনও মুক্তিপণ নেওয়া হয়নি। বরং বাড়ি ফেরার জন্য ৩০০ টাকা চিকিৎসকের পকেটে গুঁজে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর এখনও ঘোর কাটেনি সুনীলের। কেন তাঁকে অপহরণ করা হল, কেনই বা ফিরিয়ে দেওয়া হল, তার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না নিজেও। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ দুষ্কৃতীদের সম্বন্ধে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। চিকিৎসকের ভাইয়ের ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও শত্রুতা রয়েছে কি না, তার খোঁজও নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy