রাজ্যে প্রবেশ করেছে বর্ষা। — ফাইল চিত্র।
অপেক্ষার অবসান! পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। সময়ের থেকে ছ’দিন আগে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের অনেকাংশে প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। এর আগে ২০০৯ সালে শেষ বার রাজ্যে মে মাসে প্রবেশ করেছিল বর্ষা।
এমনিতে ৬ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। গত বছর ১২ জুন রাজ্যে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। এ বার মে মাসের শেষ দিন, শুক্রবার রাজ্যে প্রবেশ করল বর্ষা। এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ মে রাজ্যে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। ২০০৬ সালে বর্ষা এসেছিল ২৭ মে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, এ বছর রেমালের কারণে একটু আগেই বর্ষা প্রবেশের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বর্ষা প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ের ভূমিকা রয়েছে। তার মধ্যে এ বছর অন্যতম ভূমিকা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে এখন কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি চলবে। রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে। এর মধ্যে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এই দুই জেলায় বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। বৃষ্টি হতে পারে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বৃষ্টি হতে পারে শনিবার।
পশ্চিমবঙ্গে যখন বর্ষা প্রবেশ করেছে, তখন উত্তর, পশ্চিম এবং মধ্য ভারত পুড়ছে গরমে। চলছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বিহারে গত ৪৮ ঘণ্টায় গরমে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। তাঁদের মধ্যে ১০ জন ভোটকর্মী। এই গরমের মরসুমে ওড়িশায় ১০ জন, ঝাড়খণ্ড এবং রাজস্থানে পাঁচ জন করে মারা গিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর আগে, দিল্লিতে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বিহারের এক বাসিন্দার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর জ্বর হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy