এই গির্জাতেই প্রার্থনা করবেন মনিকা বেসরা। ছবি: অমিত মোহান্ত।
মাদার টেরিজাকে সন্ত ঘোষণার সময় গ্রামেরই ছোট্ট গির্জায় প্রার্থনায় বসছেন মনিকা বেসরা। আজ, রবিবার ভ্যাটিক্যানে সন্ত উপাধিতে ভূষিত করা হবে মাদারকে। কয়েক হাজার মাইল দূরে বসেই তাতে সামিল হচ্ছেন মনিকা। তাঁর সঙ্গেই প্রহর গুনছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের নাকোড় গ্রাম।
নিঝুম নাকোড়ের আদিবাসী মহল্লায় শনিবার দিনভরই ছিল ব্যস্ততার ছবি। সবুজ ধানের জমি চিরে চলে যাওয়া ভাঙাচোরা ইটের রাস্তার ধারে সাদামাঠা গির্জাটি সেজে উঠেছে। রবিবার মাদারের স্মরণে ওই গির্জাতেই প্রার্থনায় বসছে গ্রামের মানুষ। এ দিন মনিকা বলেন, ‘‘সকাল ৭টা থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত বিশেষ প্রার্থনা। কাগজের ফুল, জরির ঝালর দিয়ে সাজানো হয়েছে গির্জার ভেতরে। যিশুর পায়ের কাছে বেদি সাজানো হয়েছে মোম দিয়ে।’’
আগে থেকেই ওই গির্জার সাফাই, দেখাশোনার ভার মনিকার উপর। শুক্রবার সকালেই তালা খুলে গির্জার প্রার্থনা ঘর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করেছেন মনিকা। ফুল পাতা দিয়ে গির্জা সাজিয়ে তুলতে বিকেল থেকে ঝাউ পাতা ও পাতাবাহারের ডাল জোগাড়ে নেমে পড়েছিলেন মনিকার গোটা পরিবার।
যে দু’টি অলৌকিক ঘটনাকে সামনে রেখে মাদার টেরিজাকে সন্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে তার একটি যে তাদেরই গ্রামের সাদামাঠা মহিলা মনিকাকে ঘিরে, সংবাদমাধ্যমের দৌলতে ইতিমধ্যে তা জেনে গিয়েছে এলাকার নতুন প্রজন্ম। তাই ওই মুহূর্তে ভ্যাটিক্যান সিটিতে মনিকার উপস্থিতি না থাকলেও তাঁকে নিয়ে নিজেদের মতো করে অনুষ্ঠান করবেন বলে জানিয়েছেন মনিকার ছেলে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া বার্নাবাস মুর্মু বা গ্রামের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মোফাইজুর রহমানেরা।
এ দিন মনিকাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের গির্জায় যিশুর মূর্তির সামনে প্রার্থনায় বসে ভ্যাটিক্যানে টেরিজাকে সন্ত ঘোষণার মুহূর্তটির সরিক হতে চায় গোটা নাকড় গ্রাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy