Advertisement
২৩ জানুয়ারি ২০২৫

পরিবারের সকলকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় আততায়ী অধরাই, আঁধারে পুলিশ

বুধবার রাতে  জিয়াগঞ্জ পুলিশের একটি দল সাগরদিঘির সাহাপুর গ্রামে আসে। সেখানে স্বপন কর্মকার নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তলব করা হয়। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার গাড়ির চালক সে।

জিয়াগঞ্জের খুনের ঘটনার তদন্তে জেলা  পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র

জিয়াগঞ্জের খুনের ঘটনার তদন্তে জেলা পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১২
Share: Save:

ভরদুপুরে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সকলকে কুপিয়ে খুনের ঘটনার পরে দু’দিন কেটে গেলেও জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ এখনও পর্যন্ত অন্ধকারে। দু’চারজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়া তদন্তে বিন্দুমাত্র এগুতে পারেনি পুলিশ বলেই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় মোমবাতি মিছিল নিয়ে পথে বেরনো সাহাপুর তাই পুলিশকে ‘সক্রিয়’ হওয়ার দাবিই জানিয়েছে।

বুধবার রাতে জিয়াগঞ্জ পুলিশের একটি দল সাগরদিঘির সাহাপুর গ্রামে আসে। সেখানে স্বপন কর্মকার নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তলব করা হয়। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার গাড়ির চালক সে। নিহত বন্ধুপ্রকাশ তার কাছে গাড়ি চালানো শিখেছিলেন। পরে তার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কও গড়ে ওঠে বলে পুলিশের কাছে খবর। যদিও মৃতের পরিবারের লোকজন ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পিছনে কোনও কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না।

খুনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে জিয়াগঞ্জ শহরের নিরাপত্তা নিয়েও। বাড়িতে ঢুকে ভরদুপুরে খুনের পরেও আততায়ী গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে কি করে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। রক্তাক্ত চপার কিংবা আততায়ীর গেঞ্জির হদিস পাওয়া গেলেও সেই সূত্র ধরে পুলিশ কেন এগোতে পারল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

মৃতের মামা দুলাল ঘোষ বলছেন, ‘‘পুলিশের কাছে পরিবারের তরফে যত রকম সন্দেহজনক সূত্রের কথা জানা ছিল সব জানানো হয়েছে। আমাদের মনে হয় জেলা পুলিশ সুপারের উচিত নিজে তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা। কারণ এই খুনের ঘটনায় স্পষ্ট জিয়াগঞ্জ শহরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত নয়।’’

এ দিকে বুধবার লালবাগে ময়না তদন্তের পর রাত ১০ টা নাগাদ সাহাপুরে মামার বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ৪টি মৃতদেহ। কারণ ময়না তদন্তের নিয়ম মত বিউটির গর্ভস্থ ৯ মাসের শিশুটিকেও আলাদা ভাবে ময়নাতদন্ত করা হয়। রাতে সাহাপুর থেকে দেহগুলি যায় বিউটির বাপের বাড়ি রামপুরহাটের গ্রাম সিউরাতে। সেখান থেকে সকালে হরিদাসমাটি শ্মশানে দাহ করা হয় স্বামী ও স্ত্রীকে। দুই শিশুকে আজিমগঞ্জে সমাধি দেওয়া হয়।

এ দিন লালবাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার বলেন, ‘‘বেশ কয়েক জনকে জেরা করে প্রাথমিক ভাবে যা মনে হচ্ছে, টাকা পয়সার কারণেই খুন। কারণ বন্ধু প্রকাশ সাহাপুরে থাকার সময় বেশ কিছু টাকা ধার করে জিয়াগঞ্জে চলে আসেন।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বিউটি পালের ঘর থেকে একটি নোট ও একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেগুলি প্রয়োজনীয় সূত্র হতে পারে বলেই তদন্তকারীদের অনুমান।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Murder Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy