সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে দুয়ারে সরকার শিবির থেকে। ফাইল চিত্র
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সংক্রান্ত বৃত্তি পেতে আর স্কুল, মাদ্রাসা কিংবা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেই এই বিষয়ে আবেদন করলে পাওয়া যাবে বৃত্তি। এমনকি বৃত্তির জন্য পুনর্নবীকরণের জন্যও যেতে হবে দুয়ার সরকার শিবিরে। সম্প্রতি এই বিষয়ে এক নির্দেশিকা জারি করেছে সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর। সেখানেই বলা হয়েছে, ঐক্যশ্রী পোর্টাল আগামী ২১ মে থেকে চালু হবে। আগামী ৩১ মে-র মধ্যে সেখানে বৃত্তি পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন করতে পারবেন সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা।
তবে এ বার নতুন করে বৃত্তি পেতে আবেদন করতে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের আবেদন করতে হবে দুয়ারে সরকার শিবিরে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম থেকে ঐক্যশ্রী বৃত্তি প্রদান শুরু করে। প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের ভিত্তিতে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা বৃত্তি পান। এত দিন এই বৃত্তি প্রদানের জন্য আবেদন করতে হত অনলাইনে। তবে আবেদন যাচাই করা থেকে শুরু করে বৃত্তি প্রদানের প্রশাসনিক কাজ করতে হত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই। এ বার সেই কাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে দুয়ারে সরকার শিবির থেকে করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুল বন্ধ রেখে দুয়ারে সরকারে ছাত্র ছাত্রীদের টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকার পড়াশোনা বাদ দিয়ে আসলে নিজেদের কাজের প্রচার করতে চাইছে। এটা কোনও মতেই সমর্থনযোগ্য নয়। এ ধরনের কাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হওয়া বাঞ্ছনীয়। লেখাপড়া এই সরকারের কাছে গৌণ বিষয়, ভোটটাই মুখ্য।’’ তবে শাসকদলের প্রতিনিধিরা এ কথা মানতে চাননি। শাসকদলের এক বিধায়কের কথায়, ‘‘রাজ্যে মানুষ যাতে সরকারি সুবিধা নিজের এলাকায় বসেই পেয়ে যান, সেই কারণেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল। এর সঙ্গে দলীয় কৃতিত্ব প্রদর্শনের কোনও প্রশ্নই নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy