প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাজ্য সরকারকে প্রথম দফার টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। — নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে দিল্লির সঙ্গে সংঘাতের আবহেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির জন্য রাজ্য সরকারকে প্রথম দফার টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন প্রদীপ। সেখানে তিনি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে। সেই বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের দাবিতে লাগাতার সুর চড়াচ্ছিল রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে কেন্দ্রের বরাদ্দ অনুমোদন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন এ রাজ্যের রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-৩, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হতে চলেছে এ রাজ্যে। সে জন্য রাজ্যের পাওয়ার কথা ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় প্রথম দফায় তৈরি হবে ৮৫৭ কিলোমিটার রাস্তা। তা নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েত দফতরকে প্রথম দফায় ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তবে ওই প্রকল্পের জন্য এখনও কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য রয়েছে ৪ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রথম পর্যায়ের অনুমোদন এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রদীপ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১ বছর পর গ্রামোন্নয়ন দফতরের বরাদ্দ এল রাজ্যে।
সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন প্রদীপ। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের পাওনাগন্ডার কথা বলেন তিনি। তিনি ১০০ দিনের কাজ এবং গ্রাম সড়ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দের কথা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে। তবে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও বার্তা পায়নি রাজ্য। রাজ্যের দাবি, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে মোট ৭ হাজার কোটি টাকা।
দীর্ঘ দিন ধরেই ১০০ দিনের কাজ, সড়ক নির্মাণ এবং আবাস যোজনার বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বেলপাহাড়ি সফরেও তা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন মমতা। বুধবার ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা রওনা দেওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার ঘর, ১০০ দিনের কাজ, রাস্তার তহবিল আটকে রেখেছে। অথচ জিএসটি নিয়ে যাচ্ছে। কেন আটকায়? ওরা বলল, একটাই কর হবে দেশে। আমরা তাতে সায় দিলাম। আগে আমরা আলাদা কর নিতাম। এখন সব কর কেন্দ্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য থেকে। প্রাপ্য টাকা কেন আটকাচ্ছ? প্রাপ্য টাকা আটকে রাখার তো অধিকার নেই।’’
একইসঙ্গে গ্রামবাসীদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আবেদন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়। এ নিয়ে মমতা কাঠগড়ায় তোলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে রাজ্যের একরাশ অভিযোগের মাঝেই এল প্রাপ্তি সংবাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy