প্রতীকী ছবি।
ভিন্ রাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে যে সব পরিযায়ী শ্রমিক বঙ্গে ফিরেছেন, তাঁরা ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ পাবে। রাজ্য সরকার এ কথা গত মাসেই ঘোষণা করেছে। নতুন জব কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। কিন্তু অভিযোগ, জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিযায়ীদের অনেকে কাজ পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত দফতরের দাবি, জব কার্ড নিতে অনেক পরিযায়ীই আগ্রহী নন।
বাস্তব চিত্র অবশ্য অন্য কথা বলছে। পুণে থেকে মালদহের বৈষ্ণবনগরের বীরনগর গ্রামে ফিরেছেন রাজমিস্ত্রি সাইফুদ্দিন শেখ। তিনি বলেন, ‘‘আমার জব কার্ড আছে। শুনেছি পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজে দেওয়া হবে। কিন্তু কাজ পাইনি।’’ হবিবপুরের উমা রায় বলেন, ‘‘এলাকায় ১০০ দিনের কাজ পেতাম বছরে গড়ে ৩০ দিন। তাতে সংসার চলত না বলে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলাম। সেখানেও কাজ নেই, ফিরে এসেও কাজ পাচ্ছি না।’’
গত দু’মাসে উত্তর দিনাজপুরে ৩৫ হাজারেরও বেশি শ্রমিক ফিরেছেন বলে প্রশাসনের দাবি। প্রশাসন শ্রমিকদের একশো দিনের প্রকল্পে নিযুক্ত করার দাবি করলেও বেশির ভাগ পরিযায়ী শ্রমিক জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও কাজ পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সোলেমান আলি বলেন, ‘‘আমার জব কার্ড নিয়ে ক’দিন আগে পাওয়ার জন্য পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে গিয়েছিলাম। আমাকে জানানো হয়, নতুন মাস্টার রোল (তালিকা) তৈরি না হওয়া পর্যন্ত কাজ মিলবে না।’’
উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের দাবি, জেলার ন’টি ব্লকে পরিযায়ী শ্রমিকদের একশো দিনের প্রকল্পে নার্সারি তৈরি, পুকুর, খাল, জলাশয় খনন এবং সংস্কার ও সরকারি জমি সমান করার কাজে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই নতুন মাস্টার রোলে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
একই সমস্যা আলিপুরদুয়ারেও। জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও এই জেলার বহু পরিযায়ী শ্রমিকেরা একশো দিনের কাজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বিরোধীদের অভিযোগ, ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের মধ্যে শাসক ঘনিষ্ঠেরাই কাজ পাচ্ছেন। জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন। একই অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারেও। নিশিগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত এলাকায় মাটি কাটার কাজে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে জবকার্ডধারী ৪০ জন কাজে যোগ দিতে গেলে শাসক দলের সদস্যরা তাঁদের বাধা দেয়।
যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, জব কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিযায়ীদের যত আবেদন পাওয়ার কথা ছিল, বাস্তবে তা দেখা যায়নি। অনেকেই ১০০ দিনের কাজ করতে আগ্রহ দেখাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy