—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাংলায় কাজ করতে এসে সস্ত্রীক ‘আক্রান্ত’ হলেন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, পাওনা নিয়ে বিবাদের জেরে সোমবার রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সিংহপাড়ায় ওই মাখনা-শ্রমিককে খুনের চেষ্টা করা হয়। বাঁচাতে গেলে তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়, পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েক জন ‘ফড়ে’ ও তাঁদের সঙ্গীরা। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘এক জনকে ধরা হয়েছে।’’ ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
পুলিশ সূত্রের খবর, আক্রান্ত শ্রমিকের বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙায়। তাঁকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
যদিও পরিবারের লোকেরা রাতেই তাঁকে বিহারের পূর্ণিয়ার নার্সিংহোমে ভর্তি করান।
হরিশ্চন্দ্রপুরের দু’টি ব্লকের অর্থনীতি মাখনা চাষ ও ব্যবসার উপরে নির্ভরশীল। দু’টি ব্লকে অন্তত ৪০০ ‘ফড়ি’ বা ঘেরা এলাকা রয়েছে। এক-একটি ‘ফড়ি’-তে ঘর ভাড়া নিয়ে সাত-আটটি করে পরিবার মাখনা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে। দ্বারভাঙার ওই পরিযায়ী শ্রমিক এক ফড়ি-মালিকের জমি ভাড়া নিয়ে মাখনার কারবার করতেন। কিছু দিন আগে ৩০ বস্তা মাখনা লেনদেনের জন্য এক ‘ফড়ে’র থেকে ওই শ্রমিক কয়েক হাজার টাকা অগ্রিম নেন। দাবি, পরে অগ্রিমের তুলনায় বেশি টাকার মাখনা নেন ‘ফড়ে’। সোমবার রাতে তা নিয়ে গোলমালের সময় ওই শ্রমিক ও তাঁর স্ত্রী ‘আক্রান্ত’ হন।
কিছু দিন আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের লক্ষ্মণপুরের এক শ্রমিকের রাজস্থানে খুন হওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে তৃণমূল। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে এ রাজ্যের শ্রমিকদের খুঁজে বার করে ‘খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ তোলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। বিজেপির জেলা নেতা কিষান কেডিয়ার দাবি, সে সময় আব্দুর রহিম বক্সী বদলার হুঁশিয়ারিও দেন। কেডিয়া বলেন, ‘‘জেলা তৃণমূল সভাপতির উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরেই এমন ঘটল। ওই শ্রমিক যে হেতু কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জোট-সঙ্গী রাজ্য বিহারের বাসিন্দা, তাই তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালিয়েছে।’’ রাজ্যের মন্ত্রী ও এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তজমুল হোসেন বলেন, ‘‘এখানে তৃণমূলের ব্যাপার নেই। হরিশ্চন্দ্রপুরে বিহারের বহু শ্রমিক মাখনার কাজ করলেও, এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। এটা বিচ্ছিন্ন ও দুর্ভাগ্যজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy