টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েও না পাওয়ায়, অর্থলগ্নি সংস্থার এক কর্তার বাড়িতে হামলা চালাল ক্ষুদ্ধ আমানতকারী ও এজেন্টরা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়া থানার মাইশোরা এলাকার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা গ্রামে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোল্ডেন হেভেন নামে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে থাকা প্রদীপ বেরার বাড়ি শ্যামসুন্দর পাটনা গ্রামে। ওই অর্থলগ্নি সংস্থার মূল অফিস ছিল মেদিনিপুর শহরে। ওই সংস্থার অন্যতম কর্তা হিসেবে প্রদীপবাবু ২০১২ সাল থেকে পাঁশকুড়া ও সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু এজেন্ট নিয়োগ করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অল্প সময়ে মোটা টাকা ফেরতের ‘লোভ’ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এ ভাবে প্রদীপবাবু কয়েক কোটি টাকা সংগ্রহ করেন বলে অভিযোগ।
কিন্তু, গত বছরে সারদা কেলেঙ্কারির পরে প্রদীপবাবুর ওই অফিস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ওই সংস্থার এজেন্ট ও আমানতকারীরা প্রদীপবাবুর কাছে আমানতের টাকা ফেরতের জন্য তাঁর বাড়িতে এসে বারবার দরবার করতেন। সপ্তাহ দু’য়েক আগে আমানতকারীরা প্রদীপবাবুকে টাকা ফেরতের জন্য চেপে ধরেন। তখন তিনি ২ জুলাই টাকা ফেরতের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন বলে এজেন্ট ও আমানতকারীদের দাবি। সেই মত বুধবার সকালে প্রায় ৫০ জন প্রদীপবাবুর বাড়ির সামনে গিয়ে জানতে পারেন প্রদীপবাবু বাড়িতে নেই। এরপরেই তাঁরা প্রদীপবাবুর দোতলা পাকা বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে জানালার কাঁচ ভেঙে দেন। ফুল গাছের টব ভাঙচুর করেন। এজেন্ট মমতাজ বিবির অভিযোগ, “আমানতকারীদের থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছিলাম। এখন টাকা ফেরতের জন্যে তাঁরা আমাকে চাপ দিচ্ছেন।” স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মাইতির অভিযোগ, “ওই সংস্থায় ৮ লক্ষ টাকা রেখেছিলাম। এজেন্ট হিসেবে আরও ৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছিলাম।” পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।
এ দিকে, কোলাঘাট থানার মেচেদা বাজার এলাকার একটি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছিল তমলুকের বাসিন্দা এক আমানতকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy