পথে তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি মিছিল করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেদিনীপুরে মিছিল করেছিল তৃণমূল। এসেছিলেন খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। এ বার জেলার জঙ্গলমহলেও বিজেপির পাল্টা মিছিল করল শাসক দল।
গত ২২ অগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলিয়াবেড়া থানার বাহারুনা থেকে রান্টুয়া পর্যন্ত যে পথে বিজেপির মিছিল হয়েছিল, শনিবার সেই পথ ধরেই এগোয় তৃণমূলের মিছিল। সভাও হয়। এ দিনের কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতৃত্ব বার্তা দেন, মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি ‘এলাকা দখলে’র চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ‘পাল্টা প্রতিরোধ’ গড়ে তোলা হবে।
এ দিন দুপুরে তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে অবশ্য শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ আসেননি। ছিলেন দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, প্রদ্যোৎ ঘোষ, মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা প্রমুখ। মিছিল শুরুর আগে বাহারুনায় এবং মিছিল শেষে রান্টুনায় দু’টি সভারও আয়োজন করা হয়। মাওবাদী-বিজেপি-সিপিএম জোট এলাকায় অশান্তি পাকাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন দীনেনবাবু-নির্মলবাবুরা। এলাকায় শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন তাঁরা। সভায় তৃণমূলের জেলা নেতারা একসুরে বলেন, “গত ২২ অগস্ট বিজেপি বাইরে থেকে সশস্ত্র লোকজন নিয়ে এসে এলাকায় সশস্ত্র মিছিল ও জমায়েত করে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করে। সাধারণ মানুষ বিজেপি-র পাশে নেই। তাই ভাড়াটে বহিরাগতদের নিয়ে এসেছিল। কিন্তু আমাদের জঙ্গে জনগণ রয়েছেন বলে এ দিন শান্তিপূর্ণ মিছিলে কাউকে অস্ত্র ধরতে হয়নি।” পুলিশের হিসেব অনুযায়ী এ দিনের কর্মসূচিতে হাজার পনেরো লোকের জমায়েত হয়।
তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গত ২২ অগস্ট কয়েক হাজার মানুষের সশস্ত্র জমায়েত করে বাহারুনায় সভা করেছিল বিজেপি। এরপর বাহারুনা থেকে রান্টুয়া পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সশস্ত্র পদযাত্রাও করা হয়। বিজেপি-র ওই মিছিল ও সভার কোনও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ওই দিন বেআইনি সশস্ত্র জমায়েত করার অভিযোগে বিজেপি-র ৩৭ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ সুয়োমোটো মামলা রুজু করেছিল। চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়। এ দিন তৃণমূলের কর্মসূচির জন্য অবশ্য অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy