সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগড়ের খুরশি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুরিয়া গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, ওই ঘটনায় দু’জন মহিলা-সহ চার জন সিপিএম কর্মী-সমর্থক আহত হন। সিপিএমের পক্ষ থেকে নারায়ণগড় থানায় তৃণমূলের ২৫জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন রাতেই পুলিশ দু’জন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুরিয়ায় দলীয় কার্যালয় থেকে তৃণমূলের বিজয় মিছিল বের হয়। অভিযোগ, মিছিল থেকে সিপিএম বিরোধী নানা স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি ঘোড়াইপল্লির কাছে এলে সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরই সিপিএম কর্মী-সমর্থক কালিপদ ঘোড়াই, অমল মাইতি, চন্দ্রমোহন সিংহ, পূন্য ঘোড়াই-সহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপরেই দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সিপিএমের অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের লোকেরা এলাকায় বোমাবাজি চালায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় জখম পল্টন মুর্মু, সীতা মুর্মু, চৈতন্য হেমব্রম-সহ আহত চার জন সিপিএম সমর্থককে মকরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক অনন্ত চক্রবর্তীর অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকেরা বিজয় মিছিলের নামে ওই এলাকায় চড়াও হয়ে আমাদের চার জনকে মারধর করে। দলের বহু সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করাহয়। ওদের দলীয় কার্যালয়ে সবং থেকে লোক এনে উপ-প্রধান কাল্টু রায় ও অঞ্চল সভাপতি সূর্য চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে।”
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন সিপিএমের জোনাল সম্পাদক ভাস্কর দত্তও। যদিও তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের দাবি, আমাদের বিজয় মিছিল চলার সময় সিপিএমের দুষ্কৃতীরা আমাদের সমর্থকদের ওপরে হামলা করে। সেই সময়ে প্রতিরোধ করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। তবে বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা সাজানো। সিপিএমের অভিযোগের ভিত্তিতে নারায়ণগড় থানার পুলিশ এ দিন রাতেই দু’জন তৃণমূল সমর্থক বিশ্বনাথ পড়িয়া ও কালিপদ রায়কে গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy