শুক্রবার টেলিফোন এক্সচেঞ্জে চলছে মেরামতির কাজ। ছবি: সোহম গুহ।
আগুনে বিপর্যস্ত হল বিএসএনএলের ল্যান্ড ও ইন্টারনেট পরিষেবা। কাঁথি টেলিফোন এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগে। এর জেরে ওই রাত থেকেই পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে কাঁথি মহকুমা এলাকায়। স্বাভাবিক টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা না মেলায় বিভিন্ন সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, আদালত-সহ নানা বেসরকারি অফিসের কাজ ব্যাহত হয়।
টেলিফোন এক্সচেঞ্জে আগুন লাগার কথা জেনে শুক্রবার সকালে খড়গপুর টেলিফোন ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার মীরা মাড্ডি কাঁথি এসে এক্সচেঞ্জের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন। পরে এক্সচেঞ্জের পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দফতরের মহকুমা আধিকারিক তপন দাস-সহ বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। মীরা মাড্ডি জানান, ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেটের ৭০০ লাইন ও ২২০০ ল্যান্ড ফোন পরিষেবা অচল হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করে দুপুরের মধ্যে ১০০টি ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট লাইন চালু করতে পারলেও ল্যান্ডলাইনগুলির পরিষেবা এখনও চালু করা সম্ভব পর হয়নি। সেগুলি চালুর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইন্টারনেট পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ায় টেলিফোন এক্সচেঞ্জের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে টেলিফোন বিল জমা নেওয়া-সহ যাবতীয় কাজ বন্ধ রাখতে হয়। দফতরের কাঁথি মহকুমা আধিকারিক তপন দাস জানান, এক্সচেঞ্জের আওতায় থাকা ৩৭টি ব্যাঙ্কের মধ্যে শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই ১৭টিতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ন’টা নাগাদ শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকা কাঁথি টেলিফোন এক্সচেঞ্জে আগুন লাগে। এক্সচেঞ্জের ঘর থেকে আগুনের হলকা আর প্রচুর ধোঁয়া বের হতে দেখে পথ চলতি মানুষেরা চিৎকার শুরু করেন। আগুন লাগার খবরে দমকল ও পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর আগুন আয়ত্ত্বে আসে। এক্সচেঞ্জের সুইচ রুমে এসি মেসিনে সর্ট সার্কিটের ফলেই আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ধারনা। তাতে এক্সচেঞ্জে ঠিক কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনি বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার মীরা মাড্ডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy