কর্মিসভায় চাচা। — নিজস্ব চিত্র।
নতুন কেউ নয়, ভোট যুদ্ধে খড়্গপুরের বিদায়ী বিধায়ক নবতিপর চাচার উপরেই ফের ভরসা রেখেছে দল। যদিও চাচার সমর্থনে আয়োজিত কর্মিসভায় খড়্গপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা রবিশঙ্কর পাণ্ডে ছাড়া বাকি সব কাউন্সিলরই গরহাজির থাকলেন। যা নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে কংগ্রেসের অন্দরে। এ নিয়ে রবিশঙ্করবাবু বলছেন, “শহর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ডাকা কর্মিসভায় আমি গিয়েছিলাম। বাকি কাউন্সিলরেরা কেন ছিলেন না বলতে পারব না।”
সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন কংগ্রেস প্রার্থী জ্ঞানসিংহ সোহন পাল। তার আগে রবিবার খড়্গপুরের রামমন্দিরে এক কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও ছিলেন কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, খড়্গপুর শহর সভাপতি অমল দাস, দলের মহিলা নেত্রী হেমা চৌবে। দলীয় সূত্রে খবর, খড়্গপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা রবিশঙ্করবাবু-সহ দলের ১১ জন কাউন্সিলরকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও রবিশঙ্করবাবু বাদে সভায় কারোর দেখা মেলেনি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের একাংশ কাউন্সিলর চাইছিলেন, এ বার রবিশঙ্করবাবুকে খড়্গপুরে প্রার্থী করা হোক। যদিও দল ফের চাচাকেই প্রার্থী করায় তা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। তার জেরেই এ দিন দলের কাউন্সিলররা কর্মিসভায় অনুপস্থিত ছিলেন বলে খবর। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের শহর সভাপতি অমলবাবু বলছেন, “কাউন্সিলরদের ব্যক্তিগত কোনও কাজ থাকায় হয়তো আসতে পারেনি। কিন্তু তাঁরা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার চালাচ্ছেন। এতে ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।”
কর্মিসভায় না থাকা প্রসঙ্গে খড়্গপুরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রীতা শর্মার দাবি, “আমি ছেলের কাছে কলকাতায় গিয়েছিলাম। তাই যেতে পারিনি।” ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর কল্যাণী ঘোষও বলছেন, “কয়েকদিন হল আমি অসুস্থ। তাই যেতে পারিনি।” যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কাউন্সিলরই বলছেন, ‘‘এ বার অন্য কাউকে দল প্রার্থী করলেই ভাল হত।’’
যদিও এই প্রসঙ্গে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি চাচা। তাঁর কথায়, ‘‘আগে আমরা বামেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতাম। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরে গণতন্ত্র বিপন্ন। শহরেও সন্ত্রাস চলছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘২০১৫ সালে পুলিশ ও মাফিয়া দিয়ে কাউন্সিলর ভাঙানোর খেলা হয়েছে। তাই এই সরকারকে হটাতে আমাদের একজোট হতে হয়েছে।” কর্মিসভায় রবিশঙ্করবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূল শহরে একজন যোগ্য প্রার্থীও খুঁজে পায়নি, এটা ভাবলেও আমাদের লজ্জা লাগে। আমরা চাচাকে জয়ী করার শপথই নিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy