Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

দোকানে ঢেকে এনে খুন যুবক, গড়বেতায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

বাড়ি থেকে ডেকে এনে ভরদুপুরে দোকানের মধ্যেই এক সোনার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার গড়বেতার সত্যনারায়ণ মোড় বাজারের ঘটনা। বিকেলে ওই দোকান থেকেই উদ্ধার হয় মালিক অমল দত্তের (৩২) নলিকাটা দেহ। তাঁর শরীরে অজস্র আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযোগ, দোকান থেকে সমস্ত গয়নাও লুঠ হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৬ ০১:৩৭
Share: Save:

বাড়ি থেকে ডেকে এনে ভরদুপুরে দোকানের মধ্যেই এক সোনার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার গড়বেতার সত্যনারায়ণ মোড় বাজারের ঘটনা। বিকেলে ওই দোকান থেকেই উদ্ধার হয় মালিক অমল দত্তের (৩২) নলিকাটা দেহ। তাঁর শরীরে অজস্র আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযোগ, দোকান থেকে সমস্ত গয়নাও লুঠ হয়েছে। ভরদুপুরে এমন ঘটনায় হতবাক অন্য ব্যবসায়ীরা। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ৬০নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। রাত ৮টা নাগাদ সে অবরোধ ওঠে। তার জেরে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয়, আটকে পড়ে বাঁকুড়াগামী বহু গাড়ি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গড়বেতার বাজার দুপুর দু’টো-আড়াইটে নাগাদ বন্ধ হয়ে যায়। আবার বিকেল ৪টে নাগাদ দোকান খোলেন ব্যবসায়ীরা। অমলবাবুও তাঁর দোকান বন্ধ করে বনকাটায় নিজের বাড়িতে খেতে গিয়েছিলেন। বিকেলে দোকানের এক কর্মচারী সুজিত মানা এসে দেখেন দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা। ভিতরে ঢুকে আলো জ্বালতেই দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে দোকান। উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন মালিক। তাঁর গলার নলি কাটা, ক্ষতবিক্ষত সারা শরীর। সুজিতবাবুই অন্য ব্যবসায়ীদের ডেকে আনেন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ৩টে নাগাদ অমলবাবুর কাছে একটি ফোন আসে। বাবা শক্তিপদ দত্তকে অমলবাবু জানিয়েছিলেন, একজন ক্রেতা এসেছেন দোকানে যেতে হবে। শক্তিপদবাবু বলেছিলেন, দোকান খোলার সময়ই যেতে। কিন্তু শোনেননি তাঁর ছেলে। পুলিশ ওই মোবাইল নম্বরে ফোন করে। প্রথমে ফোন বেজে গেলেও কেউ তা তোলেননি। সন্ধ্যার পর মোবাইলটি বন্ধ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এমন ঘটনা গড়বেতায় প্রথম। তা ছাড়া দিনে দুপুরে এমন খুনে আতঙ্কিত অন্য বাসিন্দারা। গড়বেতা চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মহাপাত্র বলেন, ‘‘দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। যাতে আর কেউ এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস না পান।”

অমল দত্ত খুনের ঘটনায় কয়েকটি প্রশ্ন উঠছে। প্রথমত, দুপুরের যে সময় গোটা বাজার বন্ধ থাকে সে সময় কোনও ক্রেতা আসবেন কেন? এলেও অমলবাবু কেন একঘণ্টা অপেক্ষা করতে বললেন না?

দ্বিতীয়ত, ডাকাতির উদ্দেশ্যেই যদি দুষ্কৃতীরা এসে থাকে তবে তারা মালিককে এ ভাবে খুন করল কেন? যদি অমলবাবু দুষ্কৃতীদের চিনে ফেলে থাকেন তবে তো তাঁর নলি কেটেই নিশ্চিন্ত হতে পারত ডাকাতদল। এমন নৃশংস ভাবে কোপানো হল কেন?

তবে কি পারিবারিক বা পুরনো কোনও শত্রুতার জের? রাত পর্যন্ত পুলিশ এর উত্তর পায়নি। জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ জানান, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Businessman Shop Murder Youth
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy