২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর হবে, তাদের নামের তালিকাও তৈরি করছে জেলার নির্বাচন দফতর। পরবর্তী সময়ে এই তালিকা ধরে নতুন ভোটারদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের নাম যাতে ভোটার তালিকায় ওঠে তার ব্যবস্থা করা হবে।
ইতিমধ্যে বিএলও- রা (বুথ লেভেল অফিসার) বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করতে শুরু করেছেন। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে কাদের বয়স ১৮ বছর হবে, তা দেখছেন। শনিবার ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখার নানা দিক নিয়ে মেদিনীপুরের কালেক্টরেটে এক সাংবাদিক বৈঠক হয়। কালেক্টরেটের সভাকক্ষে আয়োজিত এই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলার ওসি (ইলেকশন) মনমোহন ভট্টাচার্য প্রমুখ। সেখানেই বিষয়টি জানান জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। জেলাশাসক বলেন, “যারা ভোটার হওয়ার উপযুক্ত রয়েছে, তাদের নাম যাতে কোনও ভাবেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ থেকে না যায়, সেই জন্য সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু হয়েছে গত ১০ এপ্রিল থেকে। চলবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। ইতিমধ্যে বিএলও- দের প্রশিক্ষণও হয়ে গিয়েছে। সমস্ত কাজকর্ম কী ভাবে এগোবে তা তাঁদের জানানো হয়েছে। কি কি তথ্য সংগ্রহ করে তালিকাভুক্ত করতে হবে তাও জানানো হয়েছে। আজ, রবিবার বুথস্তরে এক শুনানি রয়েছে। দু’জায়গায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদেরই এই শুনানিতে ডাকা হয়েছে।
জেলার ওসি (ইলেকশন) মনমোহনবাবু বলেন, “আমাদের সকলেরই উচিত, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা। ভোটদানে অংশগ্রহন করা। এ জন্য ১৮ বছর বয়স হলে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হবে।” প্রতি বছরই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হয়। গোড়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। তারপর নতুন নাম তোলার আবেদন জমা পড়ে। খসড়া তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তাও জমা পড়ে। পরে সব দিক খতিয়ে দেখে জানুয়ারিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয় সাধারণত সেপ্টেম্বরে। এ বছরও তাই হবে। জেলার এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, “আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকে পুরোমাত্রায় সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি করা। সেই কাজই হয়। এখন যে সব কাজ চলছে তা ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার একটা প্রক্রিয়াই।” প্রতি বছরই জেলায় ভোটার সংখ্যা বাড়ে। এখন পশ্চিম মেদিনীপুরের ভোটার সংখ্যা ৪৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ১২৬। এরমধ্যে পুরুষ ২২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৬৩। মহিলা ২১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৩৫। গতবার নতুন করে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৮২৬ জনের নাম ভোটার তালিকায় ওঠে। আগের তালিকা থেকে বাদ যায় ২২ হাজার ১৫৭ জনের নাম। আগে জেলায় প্রতি ১ হাজার পুরুষপিছু ৯৬০ জন মহিলা ভোটার ছিলেন। এখন ১ হাজার পুরুষপিছু মহিলা ভোটার রয়েছেন ৯৬২ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy