সুনসান সবংয়ের ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র।
দলবদল হয়ে গিয়েছে। এ বার কি তবে কার্যালয়ের হাত বদলের পালা— প্রশ্ন সবংয়ে।
কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার ভাই তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা-সহ সবংয়ের এক ঝাঁক কংগ্রেস নেতা-কর্মী বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর তারপরই প্রশ্ন উঠেছে সবংয়ে ব্লক কংগ্রেসের অফিসটি কি এ বার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় হয়ে যাবে!
এ ক্ষেত্রে দলত্যাগীদের দু’ধরনের মত। দলত্যাগী আবু কালাম বক্স বলছেন, “ব্লকের প্রায় সব নেতা তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। তাই ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়টি তৃণমূলের হয়ে যাওয়া উচিত।’’ একই সুরে কংগ্রেসের ব্লক সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে তৃণমূলে আসা স্বপন মাইতির বক্তব্য, “সকলে যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছি, তখন ব্লক কংগ্রেস অফিসটি তৃণমূলের কার্যালয় করলেই ভাল। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।’’
যদিও দলত্যাগী অমল পণ্ডার উল্টো মত। তিনি বলেন, “আমি এখনও মন থেকে কংগ্রেসকে ভুলতে পারিনি। এই ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়ের মালিক ব্লক কংগ্রেস সভাপতি। তাই ওই অফিস কংগ্রেসেরই থাকবে।’’ এ দিন ওই কার্যালয় খোলা হয়েছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন জেলা কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত ভৌমিক-সহ কংগ্রেসের অনেক কর্মী। জয়ন্তবাবু বলেন, “ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়ে যে জমিতে
সেটির মালিক ব্লক কংগ্রেস সভাপতি। তাই ওটা নিয়ে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই।”
বিকাশবাবু, অমলবাবুর মতো যে সব নেতারা বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই ভোটের আগে দুবরাজপুরে তৃণমূলকর্মী জয়দেব জানাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। ওই মামলায় নাম জড়িয়েছে বিধায়ক মানস ভুঁইয়ারও। ওই খুনের ঘটনায় এফআইআর হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপন করেছিলেন। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের আগে পর্যন্ত মানসবাবুও নিজের অবস্থান গোপন রেখেছিলেন। পরে তিনি প্রকাশ্যে এলেও অমল পণ্ডা, বিকাশ ভুঁইয়া, আবু কালাম বক্স-সহ অনেকেই নাগালের মধ্যে আসেননি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে অবশ্য ছবিটা পাল্টেছে। মোবাইল চালু হয়েছে। বিকাশ ভুঁইয়া, অমল পণ্ডারা এলাকাতেও ফিরেছেন।
শাসক শিবিরে ভিড়ে তবে কি এখন চিন্তামুক্ত?
সদুত্তর এড়িয়ে বিকাশবাবু বলেন, “আইনের পথে আইন চলবে। রাতে এলাকায় ফিরেছিলাম। আবার কলকাতায় চলে এসেছি। আর এত দিন স্ত্রীর কাছে মোবাইলটা ছিল।’’ অমলবাবুর আবার ব্যাখ্যা, “আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
করেছে। তাই আমি এখনও নিরাপদ মনে করছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy