লোকসভা ভোটের ফল বেরোতেই মেদিনীপুর লোকসভার যত্রতত্র তাদের কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ করছে তৃণমূল। অনেকেই তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসের’ ভয়ে ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। সেই ঘরছাড়াদের দেখতে যখন মেদিনীপুরে এলেন দিলীপ ঘোষ, তখনই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সোমবার এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। তবে দিলীপ এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
সোমবার ‘ঘরছাড়া’ কর্মীদের দেখতে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে যান প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। ঠিক তখনই তৃণমূল অভিযোগ করল, রবিবার রাতে দাঁতন-২ নম্বর ব্লকের সোলেমনপুরে বিজেপির দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের তিন কর্মী। ওই তিন জনকে লাঠি-রড-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। আহতদের মধ্যে এক জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। বাকি দু’জন চিকিৎসাধীন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। এঁদের এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। তাঁকে ‘রেফার’ করা হয়েছে কলকাতায়। এ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার অভিযোগ, ‘‘ওই অঞ্চলে এ বার লোকসভা ভোটে তৃণমূল হেরেছে। তার পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা লাগাতার অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রাতের ঘটনাও সেই ভাবে ঘটেছে। অতর্কিতে হামলা চালিয়ে আমাদের তিনজন কর্মীকে আহত করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’’
যদিও বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তিনি এই গোটা ঘটনাকে সাজানো বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভুগছে। নিজেরা মারামারি করছে। আর দোষ চাপানো হচ্ছে বিজেপির উপর।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিজেপি যে মারবে, এখন এই অবস্থাতেই নেই।’’
আরও পড়ুন:
দুপুরে মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ মেদিনীপুর শহরে জেলা পার্টি অফিসে দেখা করতে আসেন। ‘ঘরছাড়া’ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা বলতে চাননি।