সেই দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র kousikghatal2023@gmail.com
ভোটের দেখা নেই। তবু হাজির প্রার্থী। দুয়ারে নয় দেওয়ালে। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীর নাম লিখে প্রচারে নামল সিপিএম।
কবে হবে পঞ্চায়েত ভোট এ ব্যাপারে এখনও মিলছে না দিশা। কয়েক মাস আগে ভোটের যে প্রস্তুতি ছিল তা এখন দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো শুধু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে প্রশাসন। তবে ভোট যখনই হোক না কেন প্রস্তুতিতে খামতি রাখছে না সিপিএম। কয়েকদিন ধরেই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে এলাকায় মিটিং মিছিল চলছিল। সুজন চক্রবর্তী থেকে শতরুপ ঘোষেরা এসে এলাকায় মিছিল করে সান্ধ্যকালীন সভা করে গিয়েছেন। এ বার দলীয় ভাবে ঘোষণার আগেই দেওয়ালে সিপিএম প্রার্থীর নাম লিখে প্রচারেনামল বামেরা।
রাজনীতির চর্চায় দাসপুর-২ ব্লক বরাবরই ব্যতিক্রম। বাম আমলেও দাসপুরে তৃণমূল একক ভাবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। বামেদের হাত থেকে পঞ্চয়েত সমিতি ছিনিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তারা। সেই থেকে দাসপুর তৃণমূলের শক্তঘাঁটি। তবে তৃণমূল ক্ষমতা আসার পর দু’বারের পঞ্চায়েত নিবার্চনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বামেরা পিছিয়ে থাকলেও দাসপুর-২ ব্লকে সিপিএমের লড়াই অবশ্য জারি ছিল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাম প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। একক ভাবে পঞ্চায়েত না পেলেও একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান হন সিপিএমের জয়ী প্রার্থী। এই পরিস্থিতিতে সামনের পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে অনেক আগেই মাঠে নেমেছে বামেরা। এ বার সরাসরি দেওয়ালে প্রার্থীর নাম লিখে প্রচারে নামল তারা।
তৃণমূলের দেওয়াল দখল হয়ে গিয়েছে। দেওয়াল ঘিরে রং করছে বিজেপিও। এরই মধ্যে দাসপুর-২ ব্লকের দেওয়ালে প্রার্থীর নাম লিখে একেবারে প্রচারে নেমে পড়ল সিপিএম। দিন কয়েক আগে দুধকোমরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিবরায় স্থানীয় চরমানপুর সংসদে দেওয়াল লেখে সিপিএম। দেওয়ালে দলীয় প্রার্থী লক্ষ্মীকান্ত ভৌমিকের নাম লিখে প্রচার করা হয়। তবে দলীয় ভাবে সিপিএম এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি। পঞ্চায়েত ভোটও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই দেওয়াল লিখন নিয়ে অবশ্য সিপিএমের অন্দরেই তোলপাড় চলছে। সিপিএমের গোপীগঞ্জ এরিয়া কমিটির সম্পাদক রণজিৎ পাল বললেন, “পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত। দেওয়াল লেখার বিষয়টি নজরে আসতেই কর্মীদের নিষেধ করা হয়েছে।” সিপিএম প্রার্থী লক্ষ্মীকান্ত ভৌমিক বলেন, ‘‘আপাতত আর কোথাও দেওয়াল লেখা হচ্ছে না।’’
এ ব্যাপারে তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, “তৃণমূল কারও কন্ঠরোধে বিশ্বাসী নয়। এলাকায় গণতন্ত্র বজায় আছে, সেটাই তার বড় প্রমাণ।” তৃণমূলের দাসপুর-২ ব্লক সভাপতি সৌমিত্র সিংহরায় বলেন, “এখানে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সবার একটা সৌজন্যতা বজায় রয়েছে। বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করেই তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে এলাকায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy