পৌঁছল পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
সোমবার কাকভোর। হলদিয়া ও নন্দীগ্রাম থেকে ছুটল পুলিশের লঞ্চ ও স্পিড বোট।হলদিয়া ব্লকের অন্তর্গত নয়াচর দ্বীপভূমিতে পুলিশের উদ্যোগে পৌঁছে দেওয়া ত্রাণ। পাক্কা চল্লিশ মিনিট পরে নয়াচরে উপকূল থানায় কয়েক কুইন্টাল চাল আর আলু নিয়ে হাজির হলেন হলদিয়া থানার আই সি কুদরতে খোদা, উপকূল থানার আধিকারিক বুদ্ধদেব মাল ও নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের-সহ একাধিক সিভিক ভলান্টিয়ার।
ত্রাণের খবর পেয়ে হাজির বেশ কিছু মানুষ। কিন্তু মানুষের তুলনায় ত্রাণ কম।তাই এদিন আর হাতে হাতে ত্রাণ বিলি করা যায়নি। ত্রাণ রাখা হয়েছে হলদিয়া উপকূল থানায়।ঠিক হয়েছে, আরও চাল নিয়ে যাওয়া হবে দুই একদিনের মধ্যেই।তারপরেই তা বিতরণ করা হবে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, থানায় রাখা ত্রাণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেওয়া হোক দুঃস্থদের। এর সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, পাঠানো হবে আরও ত্রাণ। যদিও এদিন সাবান ও মাস্ক বিতরণ করা হয় স্থানীয়দের। আবু তাহের জানান, আরও ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হবে ওই এলাকায়।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ওই এলাকায় মাছ চাষ করেন একটি সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত তপন প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গাকে নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হয়। মুলত পাঁচটি অঞ্চল রয়েছে।প্রধানত মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত এই অঞ্চলে ১১০০ পরিবার থাকলেও বর্তমানে ৬০০-র মতো পরিবার থাকেন।লকডাউনের পর বাকিদের দ্বীপে ফিরতে বারণ করা হয়েছ। দেশের বাড়িতেই রয়েছেন তাঁরা।’’
স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার দাস, মনসুর গাজি ১৩৮ নম্বর অঞ্চলে থাকেন। এঁদের সোসাইটির নৌকা রয়েছে। সেই নৌকায় করে দিনে একবার হলদিয়া থেকে মশলাপাতি-সহ আনাজ বাজার নিয়ে আসা হত। সেই বাজারে যাওয়াও বন্ধ। এদিন প্রশাসনের কাছে নয়াচরবাসীরা আবেদন জানান, জলপথে টহল বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে নয়াচর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়মিত আট থেকে দশটি নৌকা যা তায়াত করলেও এখন তা বন্ধ। ফলে সমস্যা বেড়েছে দ্বীপবাসীর। একাধিক ভেড়ি থাকলেও মাছ উঠতে উঠতে অগস্ট-সেপ্টেম্বর। সে ক্ষেত্রে খাল-বিলের মাছ, কাঁকড়া আর গরু-মোষের দুধই ভরসা। ত্রাণ নিতে আসা হাতুড়ে চিকিৎসক আরসাদ আলি, শুকদেব লেইয়া বলেন, ‘‘ঘরের উঠোনে আনাজ চাষ করার চেষ্টা হলেও লবণাক্ত জল আর বুনো মোষের ভয়েই তা রাখা যায় না। এখন যা অবস্থা তাতে সরকারি ত্রাণ ছাড়া আমাদের বাঁচা মুশকিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy