বই-বাহক শমীক। নিজস্ব চিত্র
অপেক্ষাটা শুধু ফোন করে অর্ডার দেওয়ার। তা হলেই নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে টেনিদা, বাঁটুল দ্য গ্রেট, নন্টে-ফন্টের নানা বই। এখানেই শেষ নয়, পাওয়া যাচ্ছে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কিংবা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো লেখকদের বইও। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় করোনা যুদ্ধে সবাইকে শামিল করার জন্য এই ধরনের বই-ই পাঠকের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন খেজুরির কামারদার বাসিন্দা শমীক পণ্ডা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেজুরির কামারদা, কলাগেছিয়া, লাখি, টিকাশি এলাকায় বহু মানুষের বাড়িতেই চাহিদা মতো বই পৌঁছে দিচ্ছে শমীক। কখনও সাইকেলে, আবার কখনও মোটর সাইকেলে চাপিয়ে বই পৌঁছে দিচ্ছেন পাঠকের বাড়িতে। খেজুরির মানুষ সাহিত্য এবং সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে যুক্ত। লকডাউন চলাকালীন সাহিত্য এবং সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে জড়িত অনেকেই গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। এ রকম প্রবীণ ও নবীন প্রজন্মের অবসর কাটানোর জন্য বই গাড়ি তৈরি করেছে এই যুবক। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে ব্লক প্রশাসনিক অফিসে তথ্য কর্মী হিসেবে কাজ করেন শমীক। কিন্তু লকডাউন চলায় কামারদার একটি পাঠাগারে অস্থায়ীভাবে কাজে যোগ দিয়েছে শমীক। যেখানে প্রায় দেড় হাজারের বেশি বই রয়েছে।
অরবিন্দ বেরা ও পার্থসারথি দাসের মতো প্রবীণরা বলছেন, ‘‘লকডাউনের ফলে বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে পারছি না। তাই অবসর কাটানোর জন্য বইকেই সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছি। প্রয়োজন মতো বই মোবাইলে অর্ডার করে দিই।’’ শমীকের তৈরি বই গাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে কচিকাঁচাদের কাছেও। এ প্রজন্মের অরিন্দম মাইতি কিংবা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বনাথ মালিকের মতো অনেকে বলছেন, ‘‘ইদানীং টেলিভিশনের পর্দায় বেশিক্ষণ চোখ রাখা যায় না। তাই লকডাউন চলায় হাতে অফুরন্ত সময়। বই পড়ে জ্ঞান অর্জনের যে সুযোগ রয়েছে তা কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy