বাসের অপেক্ষায়। ঘাটালের কলেজ মোড়ে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
রাজ্যে বেসরকারি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক করতে মালিক সংগঠনগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও বাস ভোগান্তি অব্যাহত।
বুধবার, ‘আনলক টু’ এর প্রথম দিনে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বাসের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। জেলায় বাস পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে সে নিশ্চয়তা দিতে পারছে না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনও। অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, ‘‘বেশি বাস নামানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু যাত্রী না হওয়ায় মালিকদের অনেকেই বাস নামাতে চাইছেন না। লোকসান সয়ে খুব বেশি দিন বাস নামানো সম্ভব নয়। সরকার যদি নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে বাস অধিগ্রহণ করে তো ভাল।’’ তিনি জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর দিয়ে দিনে গড়ে ৮০০টি বাস চলাচল করত। এখন গড়ে ১০০- ১২০টি বাস চলাচল করছে। বিভিন্ন রুটে এমনও হচ্ছে যে, যাওয়ার সময়ে তিন-চারজন যাত্রী হলেও ফেরার সময়ে বাসে ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, হেল্পার ছাড়া আর কেউ থাকছেন না।
খড়্গপুর মহকুমাতেও বাস অনেক কম চলছে। বাসমালিকেরা জানান, আগে প্রতিদিন মহকুমায় ১৬৮টি আন্তঃজেলা বেসরকারি বাস চলত। এখন চলছে ২৫-৩০টি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্ঞানেন্দ্রনাথ পাত্র বলেন, ‘‘তেল খরচ উঠছে না। যাত্রী কম। ভাড়া বাড়ালেও যে যাত্রী হবে এমনটা কথা নয়। এই পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য কিছু বাস চালানো হচ্ছে।’’ এই সময়ে গড়বেতার তিনটি ব্লকে ১২-১৩টি বাস চললেও বুধবার সেখানে মাত্র ৩-৪ টি বাস দেখা গিয়েছে।
ঘাটালে বাস চলাচল তুলনায় স্বাভাবিক ছিল এদিন। কলকাতা-সহ বিভিন্ন স্থানীয় রুটে ৭০টি বাস রাস্তায় নেমেছিল। বাস মালিক সংগঠন সূত্রে খবর, লকডাউন শিথিল হতে ঘাটাল-ডানলপ ও ঘাটাল-হাওড়া রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। কলকাতা রুটের বাসও বেড়েছে। তবে পাঁশকুড়া, চন্দ্রকোনা রোড-সহ স্থানীয় রুটগুলিতে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। ঘাটাল মহকুমা বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে প্রভাত পান বলেন, “লোকসান করে বাস চালু রাখা হয়েছিল। দিন কয়েক ধরে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই নতুন করে বাস নামানো না হলেও যে সব বাস রাস্তায় নেমেছে, সেগুলি আপাতত বন্ধ হবে না।” বুধবার জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিশ্বজিৎ মজুমদার ঘাটাল শহরে এসে বাস মালিকদের সঙ্গে দেখা করেন। বাস কর্মীদের স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক দেন তিনি।
বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলায় ২০টি বেসরকারি বাস চলেছে। ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দিলীপকুমার পাল বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনের সঙ্গে সরকারের সমস্যা নেই। আমরা পরিষেবা চালু রাখার পক্ষে। তবে লোকসানের বহর বেড়েই চলেছে। সেই কারণেই বেশিরভাগ মালিক বাস নামাচ্ছেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy