১১৬ বি জাতীয় সড়ক অবরোধ মহিলাদের। শনিবার মারিশদায়। —নিজস্ব চিত্র।
একটি দোকানের ভিত খোঁড়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা। আর তা নিয়ে অবরোধ করা হল জাতীয় সড়ক। মারিশদার লোকাল বোর্ড এলাকার ওই ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, মদের দোকান তৈরির জন্য ভিত খোঁড়া হচ্ছিল। সেটি বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মদের দোকান খোলার প্রতিবাদে শুক্রবারই ময়নায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, লোকাল বোর্ড এলাকায় ১১৬ বি জাতীয় সড়কের পাশে শনিবার একটি দোকানের জন্য ভিত খোঁড়ার কাজ হচ্ছিল। সেখানে মদের দোকান খোলা হবে— এই অভিযোগে মহিলার-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ওই কাজ বন্ধ করে দেন। এর পরে তাঁরা ক্ষোভ দেখান এলাকার দু’টি চা দোকানের সমানে। ক্ষুব্ধ মহিলার অভিযোগ করেন, ওই দুই দোকানের আড়ালে বেআইনিভাবে মদের ব্যবসা চালানো হয়। দোকান দু’টি বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।
দুর্গা দোলাই নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘ এখান থেকে আধ কিলোমিটারের মধ্যে একটি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান রয়েছে। এছাড়া, এই এলাকায় দু’টি বেআইনি মদের দোকান রয়েছে। এর পরেও আরও একটি মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।’’ মঞ্জু দোলাই নামে আর এক মহিলার দাবি, ‘‘এলাকার কাছাকাছি একটি হাইস্কুল এবং একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অনেক কম বয়সী ছেলেরা মদ্যপান করছে। আমরা এটা মেনে নেব না। এছাড়া জাতীয় সড়কের পাশে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও মদের দোকান খোলা যাবে না বলে শুনেছিলাম। কিন্তু এখানে যে দোকান হচ্ছে, তা জাতীয় সড়কের একেবারেই পাশে।’’
এ দিন সকাল ৯ টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধেরা। বিগ্রেড সমাবেশের জন্য অন্য দিনের তুলনায় রাস্তায় গাড়ি কম থাকলেও, এলাকায় যানজট হয়। যানজটে ব্রিগেডের সমাবেশে যাওয়া বেশ কয়েকটি গাড়িও আটকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত মারিশদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মহিলাদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলে। তবে ক্ষুব্ধ মহিলাদের দাবি, এ নিয়ে তাঁরা ফের কাঁথি-৩ এর বিডিও’র কাছে দরবার করবেন।
কিন্তু ওই এলাকায় কি সত্যিই মদের দোকান তৈরির খোঁড়ার জন্য ভিত খোঁড়া হচ্ছিল? সে নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তবে ওই জমির মালিক অমৃতাংশু প্রধান বলেন, ‘‘আমি বাড়ি তৈরির জন্য ভিত খুঁড়ছিলাম। কেন এই অভিযোগ উঠল জানি না।’’
গোটা ব্যাপারে জেলা আবগারি দফতরের সুপার মানিক সরকার বলেন, ‘‘সরকার যদি কোনও মদের দোকানের জন্য লাইসেন্স দেয়, তবে তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু ওই এলাকার বেআইনি মদের দোকানের যে অভিযোগ মহিলারা করেছেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy