একসঙ্গে সহ সভাধিপতি ও সভাধিপতি। নিজস্ব চিত্র।
আগেই তিনি দেখেছিলেন হলুদ কার্ড। এ বার দেখলেন লাল কার্ড। জেলা সভাধিপতির পদ খোয়ালেন উত্তরা সিংহ। ওই পদে নতুন মুখ নিয়ে এলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সভাধিপতি হলেন প্রতিভা মাইতি। প্রতিভা জেলা পরিষদের আগের বোর্ডে কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। সহ সভাধিপতি পদে পুনর্বহাল হলেন অজিত মাইতি। অজিত তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো- অর্ডিনেটরও।
সভাধিপতি, সহ সভাধিপতি— এই দুই পদে পুরনো মুখই থাকবে, না কি নতুন মুখ আসবে, সেই নিয়ে দিন কয়েক জল্পনার শেষ ছিল না জেলা পরিষদের অন্দরে। দলের এক সূত্রে খবর, রবিবার রাতেই রাজ্য নেতৃত্বের তরফে একটি মুখবন্ধ খাম পাঠানো হয়েছিল জেলায়। মুখবন্ধ খামে সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতির নাম ছিল। সোমবার সেই খাম খোলা হয়েছে। সূত্রের খবর, সভাধিপতি, সহ সভাধিপতি— দুই পদের ক্ষেত্রেই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তিনটি করে নাম প্রস্তাব আকারে পাঠিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্ব। এর মধ্যে দু’টি করে নামই ছিল নতুন মুখ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাধিপতি পদে নতুন মুখ নিয়ে এসেছেন। সহ সভাধিপতি পদে পুরনো মুখই রেখেছেন।
উত্তরা গড়বেতার বিধায়কও। এ বারও জেলা পরিষদে জিতেছেন। দলের অন্য সূত্রের দাবি, তাঁকে এ বার ‘শর্তসাপেক্ষে’ জেলা পরিষদের টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এই ‘শর্তে’ যে, জিতে তিনি কোনও পদ দাবি করতে পারবেন না। তাঁর উপর যে দলনেত্রী ক্ষুব্ধ, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। গত বছর মে মাসে মেদিনীপুরে এসেছিলেন মমতা। তখন মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ছিল, আপাতত তিনি জেলা সভাধিপতিকে হলুদ কার্ড দেখাচ্ছেন। না শোধরালে লাল কার্ড দেখাবেন। গড়বেতার গাছ পাচার কাণ্ড নিয়েও সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হয়েছে। সভা থেকে সভাধিপতি, সহ সভাধিপতি নির্বাচন হয়েছে। জানা গিয়েছে, সভায় জেলা সভাধিপতি হিসেবে প্রতিভার নাম প্রস্তাব করেন প্রতিমা দোলুই। সমর্থন করেন সোমা দেব। সহ সভাধিপতি হিসেবে অজিতের নাম প্রস্তাব করেন নির্মল ঘোষ। সমর্থন করেন আশিস হুতাইত। দুই ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় কোনও নাম প্রস্তাব আকারে আসেনি। ফলে, ভোটাভুটি হয়নি। শুরুতে নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছে। তার পরে সভাধিপতি, সহ সভাধিপতি নির্বাচন হয়েছে। এর আগে সকাল দশটা নাগাদ মেদিনীপুরে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছেছিলেন জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যরা। সেখানে দলের পক্ষ থেকে পুরুষদের পাঞ্জাবি, মহিলাদের শাড়ি দেওয়া হয়। পরে মিছিল হয়। মিছিল করেই জেলা পরিষদের সামনে পৌঁছন নির্বাচিত সদস্যরা। নবনির্বাচিত সভাধিপতি প্রতিভার আশ্বাস, ‘‘সবাইকে নিয়ে, সুন্দর ভাবে কাজ করব। আমাদের জেলা পরিষদ রাজ্যের কাছে এক নম্বর জেলা পরিষদ হিসেবে পরিচিতি পাবে,
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy