পুকুরিয়ায় গ্রিভান্স সেল। নিজস্ব চিত্র
জঙ্গলমহলের দুই জেলা। একেবারে পাশাপাশি। মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতে এক জেলায় জেলাশাসক-সহ গোটা ‘গ্রিভান্স সেল’ গেল গ্রামে। আরেক জেলায় জেলাশাসকের দফতরে সেল বন্ধ থাকায় ঘুরে গেলেন অনেকেই।
সোমবার বিপরীত এই দুই ছবি দেখা গিয়েছে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।
এ দিন জেলা গ্রিভান্স সেল কয়েক ঘণ্টার জন্য গিয়েছিল ঝাড়গ্রামের সাপধরা পঞ্চায়েতের ঢোলকাট পুকুরিয়া হাইস্কুল প্রাঙ্গণে। সেখানে হাজির থেকে জেলাশাসক আয়েষা রানি নিজে শুনেছেন মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা। দুপুর একটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সাপধরা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যা, দাবি-দাওয়া শোনেন জেলাশাসক। প্রত্যেক বাসিন্দার নাম, ঠিকানা-সহ অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়। জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কৌশিক পাল, মহকুমাশাসক (সদর) সুবর্ণ রায় সহ জেলা ও ঝাড়গ্রাম ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। কয়েকদিন আগেই জেলা শাসকের উদ্যোগে শুরু হয়েছে আপনার সাথে প্রশাসন কর্মসূচি। এবার জেলা অভিযোগ সেল-কে এলাকায় নিয়ে গিয়ে মানুষের সমস্যার কথা শুনলেন জেলাশাসক।
এ দিকে, এ দিন মেদিনীপুরের কালেক্টরটে জেলাশাসকের কার্যালয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ জানার জন্য খোলা গ্রিভান্স সেল বন্ধ ছিল। প্রতি সোমবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা এখানে বসে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষজনের অভাব-অভিযোগ শোনেন, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন, পদক্ষেপও নেওয়া হয়। তবে এ দিন সেই সেল বন্ধ থাকায় বহু মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে এসে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ঘুরে যান। এ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘পুজোর ছুটির পরে খড়্গপুরে উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার কথা থাকায় আগের থেকেই এই সোমবার জন অভিযোগ সেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।’’ খড়্গপুর বিধানসভার উপ-নির্বাচনের পরে ফের প্রতি সোমবার জেলাশাসকের কার্যালয়ে এই সেল খোলা থাকবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy