হাতির হানায় নিহত। প্রতীকী চিত্র।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি ঘটনায় ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধা-সহ ২ জনের। আহত হয়েছেন এক জন। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ হাতির হামলার প্রথম ঘটনাটি ঘটে খড়গপুর বন বিভাগের অধীন কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের সাঁকরাইল থানার চুনপাড়া জঙ্গলের রাস্তায়। নিহতের নাম কমল মাহাতো ওরফে সুজিত (৪৪)। তিনি ঝাড়গ্রাম থানার মানিকপাড়া বিট হাউসের ইন্দখাড়া গ্রামেন বাসিন্দা। কমল রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজ সেরে একটি মোটরবাইকে আরও দু’জনকে নিয়ে চুনপাড়া হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কমল। সেই সময় ওই এলাকায় আচমকা জঙ্গলের রাস্তায় হাতি দেখতে পান তাঁরা। হাতি দেখামাত্র বাইকের গতি বাড়িয়ে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু হাতিটি বাইকের পিছু ধাওয়া করে। রাস্তায় বড় গর্ত থাকায় বাইক ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ৩ জন। কমল রাস্তা ধরে ছুটতে থাকেন। বাকি ৩ জন জঙ্গলে আশ্রয় নেন। হাতিটি পিছু ধাওয়া করে কমলকে ধরে ফেলে। এর পর তাঁকে পিষে মারে বলে কমলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। সাঁকরাইল থানার পুলিশ এবং বন দফতর কমলের দেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এ নিয়ে খড়্গপুরের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, ‘‘কমল মাহাতোর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’’ কমলের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারই রাত ১০টা নাগাদ মানিকপাড়া রেঞ্জের বালিভাসা বিটের বালিয়া গ্রামে নমিতা মাহাতো (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে পিষে মারে হাতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নমিতার মাটির বাড়ি ভেঙে ফেলেছিল হাতির পাল। প্রাণে বাঁচার জন্য বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন ওই বৃদ্ধা। সেই সময় একটি হাতি তাঁকে পিষে দেয়। মঙ্গলবার সকালে নয়াগ্রামের চাঁদাবিলা গ্রামে কার্তিক রানা নামে এক জন জখম হয়েছেন হাতির হানায়। খড়্গপুরের ডিএফও জানিয়েছেন, আহতের চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy