শ্রীনু নায়ডু খুনের মামলার সরকারি আইনজীবীর কাছে দিন কয়েক আগেই হুমকি ফোন আসার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। এ বার তোলা চেয়ে হুমকি ফোন আসার অভিযোগ তুললেন খড়্গপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর ভেঙ্কট রামনা। গত শনিবার ভেঙ্কটের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে ৭ লক্ষ টাকা তোলা দাবি করে বলে অভিযোগ। ওই দিনই খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কাউন্সিলর।
অভিযোগ, ওই দিন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ভেঙ্কট রামনাকে ফোন করে নিজেকে শঙ্কর রাওয়ের দলের লোক বলে পরিচয় দেয়। শ্রীনু খুনের মূল চক্রী শঙ্কর রাও এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। ওই ব্যক্তি ফোনে ভেঙ্কটকে আরও জানায়, তাঁকে ৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে। দাবি মতো টাকা না দিলে শ্রীনুর মতো অবস্থা হতে পারে বলেও সে হুঁশিয়ারি দেয়। এ ভাবে একাধিকবার ওই কাউন্সিলরের কাছে হুমকি ফোন আসে বলেও অভিযোগ।
খড়্গপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভেঙ্কটের অভিযোগ, ‘‘দিন কয়েক নাম-পরিচয় গোপন রেখেই একজন ফোন করে। জনৈক একজন নিজেকে শঙ্কর রাওয়ের দলের লোক বলে পরিচয় দিয়ে টাকা চায়। পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।” তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, ঘটনার কথা ভেঙ্কট রামনা প্রথমে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারকে জানান। পরে পুরপ্রধানের পরামর্শেই তিনি পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে পুলিশকে জানান। পুরপ্রধান প্রদীপবাবু বলেন, “এক কাউন্সিলরের কাছে হুমকি ফোন এসেছে। ওই কাউন্সিলর পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। নিশ্চয়ই ঘটনার কিনারা হবে।”
গত ১১ জানুয়ারি খড়্গপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সেটলমেন্টে তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে আততায়ীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। তার দিন কয়েক পরেই শ্রীনু খুনের মামলার সরকারি আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিবের স্ত্রীর কাছে হুমকি ফোন আসে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে বর্ধমানের কাটোয়ার একটি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ইন্দ্রজিৎ বেরা ও শেখ হাদিউজ্জামান নামে দু’জনকে ধরে। পরে মহাদেব মান্না নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তৃণমূল কাউন্সিলরকে হুমকি ফোনের ঘটনাতেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy