Advertisement
E-Paper

জমজমাট দিঘা, হতাশা মন্দারমণির সৈকতে

দিঘা ক্রমশ জমজমাট হয়ে উঠলেও ভিন্ন ছবি সাগর পাড়ের আর এক পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণির। মন খারাপ সেখানকার ব্যবসায়ীদের।

জমজমাট দিঘা।

জমজমাট দিঘা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৮
Share
Save

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বড়দিন ও বর্ষবরণের ছুটির জমজমাট সময়েও ভিড় নেই মন্দারমণিতে।

দিঘা ক্রমশ জমজমাট হয়ে উঠলেও ভিন্ন ছবি সাগর পাড়ের আর এক পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণির। মন খারাপ সেখানকার ব্যবসায়ীদের। শুক্রবার সকাল থেকে ভিড় জমতে শুরু করেছে দিঘায়। সকাল থেকে ভিড় দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র, মেরিন অ্যাকোরিয়াম কিংবা উদয়পুরে। তবে সামান্য ভিড় কম ছিল ওল্ড দিঘায়। সেখানকার এক হোটেল মালিক গিরিশচন্দ্র রাউৎ বলছেন,"নিউ দিঘায় রেল স্টেশন রয়েছে। তাই ট্রেনে চেপে আসা পর্যটকেরা আগে সেখানকার হোটেলের যান।" ওল্ড আর নিউ দিঘা মিলিয়ে কম-বেশি আড়াই হাজার হোটেল এবং লজ রয়েছে। সব হোটেলেই কম-বেশি বুকিং হচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন হোটেল মালিকেরা। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন,"বড়দিনের আগে হোটেল মালিকদের ভরসা যোগাচ্ছে পর্যটকদের ভিড়। যেভাবে পর্যটকেরা আসছেন তাতে মনে হচ্ছে, ভাল সাড়া মিলবে আগামী কয়েকটা দিন।’’

যদিও উল্টো ছবি দিঘা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে স্থিত মন্দারমণিতে। শুক্রবার সকালে একেবারেই ফাঁকা ছিল মন্দারমণি। অধিকাংশ বড় লজে হাতেগোণা পর্যটক ছিলেন। স্থানীয় দোকানদারদের কথায়,"অন্য বছর গুলিতে এমন সময় পর্যটকদের সারি সারি গাড়ি দেখা যেত। কিন্তু এখন সব ফাঁকা।" খারাপ পরিস্থিতির কথা মানছেন সেখানকার হোটেল মালিকেরাও। প্রসঙ্গত, নভেম্বরে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মন্দারমণির ১৪৪ টি হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন হোটেল মালিকেরা। আগামী ১৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। হোটেলগুলি কী ভাবে বাঁচানো যায় তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে।

মন্দারমণির হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি মমরেজ আলি বলেন, "ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ হলেও মন্দারমণির সব হোটেলের অবস্থা খুব খারাপ। পর্যটক নেই বললেই চলে। প্রতি বছরের মতো এ বারেও উৎসবের দিনগুলিতে বিশেষ আয়োজন রেখেছি। আইনগত বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে পর্যটকদের মন্দারমণিতে স্বাগত জানাতে
প্রস্তুত আমরা।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

digha Mandarmani

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}