জেল হেফাজতে ছাত্রনেতা। প্রতীকী চিত্র।
নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির ছাত্রনেতাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন কাঁথি মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব দে। মাসখানেক আগে কাঁথি মহিলা থানায় ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে দিঘায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবারই কাঁথি মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। এর পর বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
কাঁথি শহরের জাঁলালখাবার এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রনেতা। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এই বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ফুঁসলিয়ে দিঘায় নিয়ে গিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন ওই ছাত্রনেতা। এর পর সেই ঘটনার ভিডিয়ো এবং ছবি তুলে নাবালিকাকে ভয় দেখানো হত বলেও অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের দাবি, ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় তাঁরা দ্বারস্থ হন কলকাতা হাই কোর্টের। অভিযুক্ত ছাত্রনেতার তরফেও আদালতে জামিনের আর্জি জানানো হয়। তবে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও খারিজ হয়ে যায় তাঁর জামিনের আবেদন।
এর পর বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেন তিনি। অভিযুক্তের আইনজীবী আনন্দ দাস বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই আজ আমার মক্কেলকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে আমার মক্কেল আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন।’’ নিম্ন আদালতে ওই ছাত্রনেতার জামিনের আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নাবালিকার পক্ষের আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওঁরা সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চেও গিয়েছিলেন জামিনের জন্য। তবে উচ্চ আদালত তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আর্জি জানিয়েছিল। তবে বিচারক তান না-মঞ্জুর করে ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy