হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের মানিকতলায় প্রতিবাদ তৃণমূলের। —নিজস্ব চিত্র।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পণ্যবাহী লরি চলাচল বিপর্যস্ত করে দিল যুব তৃণমূল। বুধবার ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনি ব্লকের চিচিড়ায় জামবনি ব্লক যুব তৃণমূলের উদ্যোগে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। সকাল ৮টা থেকে টানা অবরোধের জেরে ভিন্ রাজ্য থেকে আসা কয়েক হাজার পণ্যবহী লরি আটকে পড়ে। তবে যুব তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরির দাবি, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্স, পর্যটকদের গাড়ি ও জরুরি পরিষেবার গাড়িগুলিকে আটকানো হয়নি।’’
তৃণমূলের বিক্ষোভ অবরোধে আটকে গেলেন রাজ্যেরই মন্ত্রী। বুধবার বেলা ১২ টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত কলকাতা-খড়গপুর ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে অবরোধ করে তৃণমূল। তার জেরে দুই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। সে সময় পাঁশকুড়ার বাড়ি থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁর কনভয়ও ওই অবরোধে আটকে পড়ে। পরে অবশ্য তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। ছেড়ে দেওয়া হয় কনভয়।
পাল্টা মিছিল করে বিজেপিও। তমলুক শহরে জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে মিছিল করে মানিকতলা হয়ে শহর পরিক্রমা করে হাসপাতাল মোড়ে যায়। দলের জেলা সভাপতি মলয় সিংহের অভিযোগ, ‘‘বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের রেয়াপাড়া বাজারে আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছে তৃণমূলের সমর্থকরা।’’ রামনগরে-১ ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগেও বিক্ষোভ মিছিল, পথ সভা করা হয়। ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ার বিবেকানন্দ মোড়ে বালিভাসা-বেলতলাগামী রাস্তা কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করা হয়। দাসপুরের নাড়াজোলে বিজেপি পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগও উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মিছিল বের করেন তৃণমূল সমর্থকেরা। অভিযোগ, তারপরই বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল কমিটির অফিসে গিয়ে ভাঙচুর চালান তাঁরা। যদিও তৃণমূলের ওই ব্লকের সভাপতি সুকুমার পাত্র বলেন, “মিথ্যে অভিযোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy