মাটি ফেলে ক্যানালের মাঝে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
বেআইনি ভাবে ক্যানালের মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। মাটি মাফিয়াদের ব্যবসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে নন্দীগ্রাম বিজেপি নেতৃত্ব।
নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ১৫ জানুয়ারি, বিজেপির জেলা সম্পাদক প্রলয় পাল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দফতরে এক অভিযোগে জানিয়েছেন, হিজলি টাইডাল ক্যানালের সংস্কার করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। সংস্কারের পর পূর্ব এবং পশ্চিম দুই পাড়েই মাটি ফেলা হয়। মাটি ফেলার পর পশ্চিম পাড়ে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান শাসক দলের নেতারা গাছ কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি স্থানীয় ইটভাটাগুলিকে বিক্রি করছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য ধামাচাপা দিতে ক্যানালের উপর বাঁধ তৈরি করে মাটি ফেলা হচ্ছে। ফলে ক্যানালের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ। অভিযোগের তির শাসকদলের নন্দীগ্রাম-২ ব্লক সভাপতি মহাদেব বাগ, ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গৌতম পাল, বয়াল-১ পঞ্চায়েতের প্রধান পবিত্র কর, পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ পাল ও কাজলরানি সাহুর বিরুদ্ধে। বয়াল -১ পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের তরফে ক্যানালের তিনটি জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তেঁতুলবেড়িয়ায় একটি ও এগারোফুকার-মঙ্গলচকে দুটি। কারণ ওই এলাকায় ক্যানাল সংস্কারের কাজ চলছে। ক্যানালের পাশে কিছু জায়গায় আংশিক উঁচু জমিগুলিকে সমান করতে মাটি কাটা হচ্ছে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই সব খাসজমির রয়ালটি দেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকা মৎস্য চাষের উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে পঞ্চায়েতের। আগামী অর্থবর্ষে ওই মৎস্য প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যে সমস্ত মানুষ মৎস্য চাষে আগ্রহী তাঁদের সুযোগ দেওয়া হবে।
বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বয়াল-১ পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘গাছ কাটার অভিযোগ মিথ্যা। আসলে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না বিজেপি। পঞ্চায়েতকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।’’
বিজেপির জেলা সম্পাদক প্রলয় পাল বলেন, ‘‘বাঁধের দোহাই দিয়ে দিনের-পর-দিন মাটি মাফিয়াদের মদত দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি লোপাট করে দেওয়া হচ্ছে। উপায়ান্তর না দেখে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি।’’
জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy