কুণাল ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রচারে এ বারে কুণাল ঘোষকে পূর্ব মেদিনীপুরে দেখা যায়নি। তমলুক ও কাঁথি, দুই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দুই কেন্দ্রেই হারে তৃণমূল। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করতে আজ, মঙ্গলবার ফের জেলায় আসছেন কুণাল।
তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন কুণাল। এর ফলে শুভেন্দুর অধিকারীর জেলায় ফের কুণালকে তৃণমূল সাংগঠনিক দায়িত্ব দিচ্ছে কি না, সেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূলের জেলা (তমলুক) সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘‘তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে মঙ্গলবার ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়েছে । দলের রাজ্য নেতৃত্ব থেকে কুণাল ঘোষকে পাঠানো হচ্ছে । তবে তিনি জেলায় বিশেষ দায়িত্বে থাকবেন কিনা, বলতে পারব না।’’
২০২২ সালের নভেম্বর মাসের মাসের প্রথম দিকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছিলেন কুণাল। হলদিয়ায় থাকার জন্য ঘরও ভাড়া করেছিলেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বৈঠক করতেন। যদিও ২০২৩ সালের পঞ্চায়েতের ভোটে জেলায় তৃণমূল জয়লাভ করলেও তুলনামূলক ভাবে ভাল ফল করে বিজেপি। তার পর থেকেই জেলায় কুণালের যাতায়াত কমে যায়।
লোকসভা ভোটের পর ফের তিনি শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভায় আসছেন।উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে ভরাডুবি হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। তাই ২১ জুলাইর শহিদ দিবস কর্মসূচিকে সামনে রেখে তৃণমূল জেলায় জনসমর্থন ফিরে পেতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভোটের বিপর্যয় কাটিয়ে কী ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের দলের সংগঠন পরিচালিত হবে তা নিয়ে আজ সভায় রূপরেখা তৈরি হতে পারে বলে শাসকদল সূত্রের খবর।
নিমতৌড়ির সভায় কাঁথি এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলার দলের পদাধিকারীদের থাকতে বলা হয়েছে। তবে কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় আগেই ২১ জুলাই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেখানে পরপর দু’বার প্রস্তুতি বৈঠক হওয়ার কারণে বেছে বেছে কিছু নেতাকেই শুধু নিমতৌড়ির সভায় ডাকা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা এগরার বিধায়ক তরুন মাইতি বলছেন,"আমাকে প্রস্তুতি সভায় যেতে বলা হয়েছে।"
অন্য দিকে, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সমস্ত বিধায়ক, দলের প্রাক্তন বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং ব্লক সভাপতিদের ডাকা হয়েছে। এ বিষয়ে তৃণমূলের তমলুক সংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান চিত্ত মাইতি বলেন, "দলের বিধায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়কদের পাশাপাশি সমস্ত পদাধিকারীদেরকে প্রস্তুতি সভায় হাজির হতে বলা হয়েছে।"
গত ৭ জুলাই কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা হয়েছে। বীরেন্দ্র স্মৃতি সৌধে আয়োজিত ওই সভায় জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তম বারিক, তৃণমূলের জেলা সভাপতি পীযুষ কান্তি পন্ডা, চেয়ারম্যান তরুণ মাইতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে রবিবার কাঁথিতে যুব তৃণমূলের ব্যানারে শহিদ দিবসের প্রস্তুতি উপলক্ষে একটি বড় মাপের মিছিল এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিস চক্রবর্তী এবং রামনগরের বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী অখিল গিরি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy