Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Adra division

‘বঙ্গধ্বনি’তে অভিযোগ  শুনে স্টেশনে বিধায়ক

স্টেশন ম্যানেজারকে মানুষের অসুবিধার কথা জানানোর পাশাপাশি, স্টেশনে বসেই আদ্রা ডিভিশনে চিঠি লিখে অবিলম্বে এক্সপ্রেস ট্রেনের বদলে প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন বাড়ানো এবং রাতে গড়বেতায় চক্রধরপুর-হাওড়া ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

আলোচনায় আশিস। নিজস্ব চিত্র।

আলোচনায় আশিস। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গড়বেতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৪৬
Share: Save:

চলছিল ‘বঙ্গধবনি যাত্রা’। সোমবার সেই কর্মসূচি থেকেই অভিযোগ উঠেছিল রেলের খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, খড়্গপুর-আদ্রা শাখায় ট্রেন চালু হলেও, দেওয়া হয়েছে একটি মাত্র লোকাল। বাকি সবই এক্সপ্রেস, সেই সঙ্গে গড়বেতা থেকে রাতে হাওড়া যাওয়ার ট্রেনের স্টপেজও তুলে দেওয়া হয়েছে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ শুনে বঙ্গধবনি যাত্রার কর্মসূচির পর সোমবার রাতেই গড়বেতা স্টেশনে পৌঁছলেন গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী।

স্টেশন ম্যানেজারকে মানুষের অসুবিধার কথা জানানোর পাশাপাশি, স্টেশনে বসেই আদ্রা ডিভিশনে চিঠি লিখে অবিলম্বে এক্সপ্রেস ট্রেনের বদলে প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন বাড়ানো এবং রাতে গড়বেতায় চক্রধরপুর-হাওড়া ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। সোমবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ গড়বেতা রেলস্টেশনে পৌঁছন বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের আমলাগোড়া অঞ্চলের সভাপতি বিকাশ নাগ, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা নিমাই চন্দ্র, স্থানীয় ক্লাবের কর্মকর্তা বিনোদ সিংহ-সহ অনেকেই।

প্রসঙ্গত সোমবার থেকেই খড়্গপুর-আদ্রা শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর ট্রেন চললেও, একটি মাত্র লোকাল ট্রেন দেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে। তা ছাড়া পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস থেকে অসংরক্ষিত কামরা তুলে নেওয়া ও চক্রধরপুর-হাওড়া, খড়্গপুর-আদ্রা, খড়্গপুর-আসানসোল ট্রেন তিনটিকে প্যাসেঞ্জারের বদলে মেল এবং এক্সপ্রেস করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই এই সব ট্রেনগুলিতে চড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এ সবের ফলে প্রায় ন’মাস পর এই শাখায় ট্রেনের চাকা গড়ালেও, প্রথম দিন থেকেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রেলযাত্রীদের মধ্যে।

সোমবার গড়বেতার কয়েকটি অঞ্চলে বঙ্গধ্বনি যাত্রায় ছিলেন বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী। বিধায়ককে সামনে পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘‘ট্রেন চলা শুরু করলেও, একটি মাত্র লোকাল ট্রেন। বাকি সব এক্সপ্রেস। এতে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’’ গড়বেতার বহু ব্যবসায়ী, দোকানদার রাতের চক্রধরপুর-হাওড়া প্যাসেঞ্জারে গিয়ে হাওড়ার মঙ্গলাহাট থেকে জিনিসপত্র কিনে আনতেন, এখন গড়বেতায় সেই ট্রেনের স্টপেজ তুলে দিয়েছে রেল। এই অবস্থায় বিকল্প ছিল সকালে হাওড়া যাওয়ার শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ট্রেন, সেটিকেও চালানো হচ্ছে না। ফলে অসুবিধায় পড়ছেন গড়বেতার বহু মানুষ। বঙ্গধবনি যাত্রার পর গড়বেতা স্টেশনে পৌঁছে স্টেশন ম্যানেজার তপন রায়কে বলেন মানুষের সমস্যার কথা জানান আশিস চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষের দাবি মতো রেলকে জানিয়েছি পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেসে অসংরক্ষিত কামরা রাখতে হবে। রাতে হাওড়া যাওয়ার ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে গড়বেতায়। সকালের শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে চালাতে হবে। যে ট্রেনগুলিকে প্যাসেঞ্জারের বদলে এক্সপ্রেস করা হয়েছে, সেগুলিকে আগের অবস্থায় অর্থাৎ প্যাসেঞ্জারে পরিণত করতে হবে।’’ রেলের আদ্রা ডিভিশনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘গড়বেতার বিধায়কের দাবিগুলি উচ্চস্তরে জানানো হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy