আনন্দপুরের সভায় অভিষেক। ছবি: ফেসবুক।
কেশপুরের সভাকে তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সভা বলে অভিহিত করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেশপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘এটাই বিরোধীদের জবাব।’’
গত কয়েক মাসে তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে একাধিক বার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে কেশপুরে। তৃণমূলের সূত্রেই খবর, দলের ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ এবং ব্লক সহ-সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে এই ঝামেলা। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে কখনও গন্ডগোলের কথা স্বীকার করেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার সেই কেশপুরের আনন্দপুরের সভায় অভিষেক বলেন, ‘‘মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ। তবে আনন্দপুরে যে মানুষ উপস্থিত হয়েছেন, যারা বলেন কেশপুরে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার, এটা তাদের কাছে উত্তর। কেশপুর তৃণমূলের ঘাঁটি।’’ এর পর অভিষেক বলেন, ‘‘আজ যে ভালবাসা দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষ, আপনাদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ থাকলাম। যে স্নেহ, আশীর্বাদে আজ আমায় আবদ্ধ করলেন, আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি, এই ঋণ সুদসমেত উন্নয়নের মাধ্যমে ফেরত দেব। আমি এক কথার ছেলে।’’
সভা থেকে সিপিএম এবং বিজেপিকে এক পঙ্ক্তিতে ফেলে আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘কেশপুরে যাঁরা রাজনীতি করেন, আপনারা জানেন কে তৃণমূলের, কে সিপিএমের ছিল, কে ছিল না। আর যাঁরা ভাবছেন তৃণমূলকে ভুল বুঝিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সঙ্গে কাজ করব, পরে আবার জামা পাল্টে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন, সবার উপরে কিন্তু অদৃশ্য চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। নজর কিন্তু আমি রাখছি।’’
দলের একাংশকে বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘আমি সময় দিচ্ছি, এখনও শুধরে নিন। এর পর যে ওষুধ আমি প্রয়োগ করব, সেই ওষুধে কিন্তু যে কাজ হবে তখন আর শুধরানোর সময় পাবেন না।’’
পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীচয়ন নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা যায় অভিষেককে।। তিনি বলেন, ‘‘এখন থেকে বলছেন, আমি প্রার্থী। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি দেবে না। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী নির্বাচন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ তৃণমূলকে যে ভাবে দেখতে চায়, আমরা সে ভাবে তৃণমূলকে গড়ব। সেটাই নতুন তৃণমূল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy