প্রতীকী চিত্র।
মার, পাল্টা মার— দিন কয়েক ধরে মহম্মদপুর এবং ভগবানপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা কার্যত উত্তপ্ত রয়েছে বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্বে।
এক দিন আগেই অভিযোগ উঠেছিল মহম্মদপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমবাড়ে বিজেপি নেতা রমেশ মাইতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে নিহত তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধানের ভাই পিন্টু প্রধান। পর দিনই উত্তরবাড়ে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। এবার মহম্মদপুর-১ পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর বুথের তৃণমূলের সভাপতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই আহত তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতা দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ স্কুল থেকে বাড়ি আসার পথে তিনি নিখোঁজ হন। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই তৃণমূল নেতাকে মহম্মদপুরে একটি পানের বরজে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ সুদর্শনকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বুধবার রাতে তমলুকের এক নার্সিংহোমে তাঁকে স্থানান্তিরত করা হয়।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকেরা সুদর্শনকে রাস্তা থেকে অপহরণ এবং তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বরজে ফেলে পালিয়েছে। বুধবার রাতেই থানায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, যে বুথ এলাকায় এই তৃণমূল নেতাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে, গত পঞ্চায়েত ভোটে বামেদের জোট প্রার্থী সেখানে জয়লাভ করে। লোকসভা ভোটের পর থেকে এখানে বিজেপির প্রভাবও বেড়েছে।
ভগবানপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মদনমোহন পাত্র বলেন, ‘‘বিজেপি এখন সন্ত্রাস করে এলাকায় টিকে থাকতে চাইছে। তৃণমূলের কর্মীদের আক্রমণ করছে। পুলিশকে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।’’ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য স্বপন রায় বলেন, ‘‘ভগবানপুরে মানুষের সমর্থন হারিয়ে তৃণমূল এখন দিশেহারা। তাই সব জায়গায় বিজেপির ভূত দেখছে। এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy