মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময়ে প্রেমচাঁদ ঝাঁর সঙ্গে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপির তিন জন। তাঁদের মধ্যে একজন বিক্ষুব্ধ। অন্য দু’জন নেতা।
বুধবার বিজেপি বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দেন প্রদীপ পট্টনায়েক। তিনি রেলশহরের পুরনো বিজেপি নেতা বলে পরিচিত। এ দিনই মনোনয়ন জমা দেন বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা। একইসঙ্গে বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাসও মনোনয়ন জমা দেন। তবে প্রেমচাঁদ তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে প্রতীকপত্র (ফর্ম বি) জমা দিলেও শমিত দেননি। সন্ধ্যা সাতটার সময়ে শমিত সেটি জমা দিতে এসডিও অফিসে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েছে।
খড়্গপুরের নির্বাচনী আধিকারিক তথা মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, ‘‘তিনটের পরে প্রতীকপত্র জমা দেওয়া যায় না। তাই সন্ধ্যায় প্রতীকপত্র নিয়ে এলেও আমরা জমা নিতে পারিনি। মনোনয়ন পরীক্ষার দিনে শমিত দাসের যদি ১০ জন প্রস্তাবক না থাকেন তবে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। থাকলে উনি নির্দল হয়ে লড়াই করতে পারবেন।’’
শমিত অবশ্য জানিয়েছেন, প্রেমচাঁদই দলীয় প্রার্থী। তবে দলের সর্বভারতীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে আসন সুরক্ষিত রাখতেই তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ দিন মনোনয়ন দেওয়ার আগে শোভাযাত্রা করে বিজেপি। সেখানে হুডখোলা গাড়িতে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বিকল্প প্রার্থী হিসেবেই আমাদের জেলা সভাপতিও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।”
প্রদীপ পট্টনায়েক মঙ্গলবার মিছিল করে মনোনয়ন দিতে এসেছিলেন। তবে ব্যাঙ্কের নথি সমস্যা হওয়ায় ওই দিন মনোনয়ন জমা করতে পারেননি তিনি। এ দিন অবশ্য তিনি মিছিল করে আসেননি। প্রদীপের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এ দিন দিলীপ বলেন, ‘‘উনি এর আগেও দলের হয়ে লড়েছেন। পুরনো কর্মী। আশা করি উনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এখন প্রদীপ সরকার ওঁর নাম বলছেন। তাই কে কাকে ইন্ধন দিচ্ছে বোঝা যাচ্ছে।’’
বিজেপির ঘোষিত প্রার্থী প্রেমচাঁদ দিলীপের বিধায়ক প্রতিনিধি ছিলেন। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, তাঁকে এ বারের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করতে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন দিলীপ। তাই শমিত দাস-সহ একাধিক সম্ভাব্য নামকে পিছনে ফেলে তাঁকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে দলের একাংশ প্রেমচাঁদকে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ। এছাড়া জমি সংক্রান্ত মামলায় প্রেমচাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা নিয়েও বিড়ম্বনায় রয়েছে দল। প্রেমচাঁদ এ দিন বলেন, “তৃণমূল চক্রান্ত করছে। তাই বিকল্প প্রার্থীর ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল আমাকে প্রার্থী করায় আমি কৃতজ্ঞ।”
দিলীপের অভিযোগ, “প্রেমচাঁদ যাতে মনোনয়ন না করতে পারে তার জন্য খড়্গপুরের পুরপ্রধান তথা তৃণমূলের প্রার্থী-সহ অনেকেই চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাঁর মনোনয়ন জমা হয়েছে এবং আমরাই জিতব।” এই নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারকে ফোন করা হলে একজন ফোন ধরে বলেন, “দাদা বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন।”
এ দিন শিবসেনাও মনোনয়ন জমা দিয়েছে। প্রার্থী হয়েছেন তাদের জেলা সভাপতি দেবায়ণ পাতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy