ঝড়ের আগে: রামনগর-১ ব্লকে ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলা হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ওই নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী ১০ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তাই সমুদ্র উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা-সহ জেলায় পরিস্থিতিরমোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য সচিব সমস্ত জেলাশাসক ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক জেলা আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মতো শনিবার বিভিন্ন এলাকায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন আধিকারিকেরা। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও মহড়া দেন। সেচ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কতটা প্রস্তুত তা খতিয়ে দেখেতে পাঁশকুড়া এবং কোলাঘাটে আসেন তমলুকের মহকুমাশাসক শৌভিক ভট্টাচার্য। সম্প্রতি কোলাঘাটের দেনান এলাকায় রূপনারায়ণ নদের বাঁধে ধস নামে। বাঁধ মেরামতির কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা দেখার জন্য দেনানে যান মহকুমাশাসক। সেখান থেকে তিনি কোলাঘাটের গোপালনগর, পাঁশকুড়ার কংসাবতী নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের দলটি। এ দিন খেজুরি-২ ব্লকের পাচুড়িয়া, নিচ কসবা এলাকায় যান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। উপকূলবর্তী এলাকায় ‘মাল্টিপারপাস হাউসগুলি’ও ঘুরে দেখেন। স্থানীয় হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, ‘‘গাছ কাটার মেশিন, বর্ষাতি এবং বুট জুতো সরবরাহ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের এখনই মাছ ধরা বন্ধ রেখে বাড়ি ফিরে আসারর জন্য পঞ্চায়েত গুলির মাধ্যমে প্রচার করতে বলা হচ্ছে।’’ জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, ‘‘উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত। মহড়াও চলছে।’’
গত বছর ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এবং ভরা কোটালের জোয়ারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে চাষের ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল। জমিতে নোনা জল ঢুকে আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে সমস্যা হয়েছিল। এবারও এগরা মহকুমা এবং পাঁশকুড়া ব্লকে বাদাম চাষ, আনাজ, তৈলবীজ চাষের জমি জলমগ্ন হওযার আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য জমিতে জমা দ্রুত জল নিষ্কাশনের জন্য পাম্প প্রস্তুতি রাখতে জেলা কৃষি দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। এ দিন রামনগর-১ এবং ২ ব্লকের চাষ জমি দেখতে যান কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। এগরা এবং পাঁশকুড়া ব্লকের বাদাম, আনাজ, তিল চাষের এলাকা পরিদর্শন যায় ব্লক ও মহকুমা কৃষি দফতর। রামনগর-১, ২ ব্লকে এদিন থেকেই কৃষকদের সতর্ক করার জন্য মাইক প্রচার চলছে। মাঠের পাকা বোরো ধান দ্রুত তোলার জন্য ও ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকে পান বরজ রক্ষা করতে শক্ত বাঁধন দেওয়ার জন্য কৃষকদের সতর্ক করা হচ্ছে। জেলা কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, ‘‘বৃষ্টির জল জমা জল নিষ্কাশনের জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় পাম্প রাখা হচ্ছে। জেলায় বোরোধানের প্রায় ৯০ শতাংশ মাঠ থেকে তোলা হয়ে গিয়েছে। এখনও মাঠে যে পাকা ধান রয়েছে তা দ্রুত কেটে তোলার জন্য বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy