তালাবন্ধ হয়ে পড়ে আয়ূষ বিভাগ। নিজস্ব চিত্র
ফের চালু হতে পারে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে আয়ূষ বিভাগ।
প্রায় দু’বছর বন্ধ আয়ূষ বিভাগ। আগে রোগীরা আসতেন। ফিরে যেতেন। এখন রোগী আসেন মাঝে মধ্যে। চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতাল বন্ধ তা না জেনেই।
এ ছবি চেনা বড়ই চেনা কাঁথির। করোনা কালে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সঙ্কটে জেরবার রোগীরা। বিশেষ করে করোনা পজ়িটিভ নয়, এমন রোগীদের হয়রানি বাড়ছে প্রতিদিন। মাঝেমধ্যেই রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে শোনা যায় আফসোস—এ সময় যদি আয়ূষ বিভাগটা চালু থাকত, তা হলে হয়তো কিছুটা সুরাহা হত।
কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ফের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের আয়ূষ বিভাগটি চালুর বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হাসপাতালে আয়ূষ বিভাগ চালুর পর থেকেই ভালভাবে চলছিল। তবে দু’জন চিকিৎসক এখান থেকে চলে যাওয়ার পর পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুনরায় চালুর জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে চিকিৎসক নিয়োগের কথা বলেছি।’’ নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, ‘‘ দ্রুত আয়ূষ পরিষেবা চালুর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসক নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।’’
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের দু’টি বিভাগ (বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ) দু’ জায়গায়। ২০১১ সালে প্রাথমিকভাবে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে বহির্বিভাগের উল্টোদিকে একটি বাড়িতে শুরু হয়েছিল আয়ূষ বিভাগ। পরে রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় মহকুমা হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে চলে আসে সেটি। সাংসদ ও তৎকালীন বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী বিধায়ক তহবিল থেকে যে বিশ্রামাগার তৈরি হয়েছিল সেখানেই শুরু হয় আয়ূষ বিভাগ। দু’জন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নিয়মিত রোগীদের পরিষেবা দিতেন। সেখান থেকেই ওষুধ-পত্র দেওয়া হত। কিন্তু প্রায় দু’বছর আগে দুই চিকিৎসকের বদলি হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় আয়ূষ বিভাগ।
অরূপ জানা নামে এক রোগীর কথায়, ‘‘অর্শ রোগের জন্য হাসপাতালে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পরিষেবা নিতাম। অনেকটাই ভাল হয়ে গিয়েছি। কিন্তু দু’বছর বন্ধ হাসপাতাল। এখন সমস্যা হচ্ছে।’’ ব্যক্তিগতভাবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দেখাচ্ছেন তাঁরা। ফের যদি চিকিৎসক আসেন! ফের যদি চালু হয় হাসপাতাল! অরূপ বলছেন, ‘‘করোনা কালে এ চেয়ে ভাল খবর আর কী হতে পারে। কিন্তু আদৌ হবে কি! কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কে জানে!’’
স্থানীয়দের আপত্তি মেনে গত ১ জুলাই থেকে দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র খুলে গিয়েছিল। সেখানে প্রতিদিন প্রচুর লোকের সমাগম হয়। তাই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মৎস্য নিলাম কেন্দ্র খোলার আগে এবং বিকেল নাগাদ জীবাণুমুক্ত করে স্থানীয় মৎস্যজীবী সংগঠন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাই আগেই নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় মৎস্য নিলাম কেন্দ্র ঘুরে গিয়েছিলেন। তারপর এ দিন এলেন জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ। মাছ নিলাম কেন্দ্র পরিদর্শনের পরে মৎস্যজীবী এবং মাছ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা করেন কর্মাধ্যক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy